স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম খান বলেছেন ‘পবিত্র রমজান মাসে ভোজ্যতেলের চাহিদা বাড়ে। রমজানে ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত লাভ না করে সেদিকে সকলকে খেয়াল রাখতে হবে। মানুষের কষ্ট না বাড়ে। পবিত্র রমজানের ভাবগাম্ভীর্য রক্ষা করতে সচেষ্ট থাকবেন।’ গতকাল বুধবার বিকেলে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে পবিত্র মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষা, আইন-শৃক্সখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা ও দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভায় জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম খান এসব মন্তব্য করেছেন।
জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পবিত্র মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষা, আইন-শৃক্সখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা ও দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক ও ডিডিএলজি) সাজিয়া আফরীন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), শারমিন আক্তার, সদর ইউএনও শামীম ভূইয়া, এনএসআই উপপরিচালক জামিল সিদ্দিক, সিভিল সার্জন অফিসের এমওসিএস ডা. সাজিদ হাসান, সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাজহারুল ইসলাম, দামুড়হুদার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুদীপ্ত সিংহ রায়, সহকারী কমিশনার নজরুল ইসলাম, ইমাম আব্দুল মজিদ, ইমাম রুহুল আমিন, চেম্বার পরিচালক নাসির আহাদ জোয়ার্দ্দার, দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইবরুল হাসান জোয়ার্দ্দার, জেলা পরিবেশক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী মাহবুব আলম রিংকু জোয়ার্দ্দার, কাঁচা বাজার সমিতির সভাপতি শাহ আলম, ব্যবসায়ী হেলাল উদ্দিন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ, মাঠ সংঘঠক শহিদুল ইসলাম, সাংবাদিক অ্যাড. রফিকুল ইসলাম ও শাহ আলম সনিসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় আলোচনা শেষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, বাজারে প্রতিটি দোকানে মূল্য তালিকা টাঙাতে হবে। গরুর গোশতের দাম ৬০০ টাকা, ছাগলের গোশতের দাম ৭৮০ টাকা এবং বকরী ছাগলের গোশতের দাম ৬৮০ টাকা। চাল, ডাল ও চিনিতে কেজি প্রতি ১ টাকা লাভে বিক্রি করতে হবে। পচনশীল দ্রব্যে কেজি ৫ টাকা, ইফতারিতে সংকেত বাঁজাতে হবে এবং সেহরীতে সাইরেন বাঁজাতে হবে। দোকানে মূল্যে তালিকা টানাতে হবে এবং ক্রয়ের ভাউচার সংরক্ষণ করতে হবে। মার্কেটিং অফিসার প্রতিদিনের দ্রব্যমূল্যের তালিকা জমা দেবেন। ভেজালরোধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। সরকারি জাকাত ফান্ডে জাকাতের টাকা জমা দেয়া যাবে। খাবার হোটেল পর্দা দিয়ে বিশেষ ব্যবস্থায় খোলা রাখা যাবে। পবিত্র ইফতার ও সেহরীর সময়ে বিদ্যুত ও পানির সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। ধুমপান ও মাদকদ্রব্য অপব্যবহার রোধে বাস-ট্রেন স্টেশনে মোবাইল কোর্ট পরিচালন করা হবে। যাত্রীবাহি বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা যাবে না। ইফতারি বিক্রির কারণে রাস্তায় জানজট করা যাবে না। বাজার মনিটরিং কমিটি নিয়মিত বাজার তদারকি করবেন। উপজেলা পর্যায়ে বাজার মনিটরিং করা হবে। তরমুজের মূল্য স্বাভাবিক রাখতে নিয়মিত তদারকি করা হবে। প্রতিটি মসজিদে একই ব্যবস্থায় তারাবি নামাজ আদায় করতে হবে। মিষ্টি ও ফলের টোঙ্গা হালকা হতে হবে। জনগণকে সচেতন করতে পৌরসভাকে মাইকিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।
সভায় জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম খান আরো বলেন, ব্যবসায়ীরা নিয়মিত দোকানের ক্রয়-বিক্রয়ের ভাউচার সংরক্ষণ করবেন। পণ্য বিক্রিতে শতকরা ১০ ভাগ লাভ করতে পারবেন। দোকানে মূল্য তালিকা রাখতে হবে। শাড়ি-কাপড় ও গার্মেন্টেসের শার্ট প্যান্টের দাম আকাশচুম্বি না হয়। তরমুজ ক্রয়মূল্যের সাথে বিক্রি মূল্য নির্ধারণ করবেন। অতিরিক্ত লাভ করা যাবে না। ফল ও মিষ্টি ব্যবসায়ীরা অস্বাভাবিক ভারি টোঙা পরিহার করবেন।