স্টাফ রিপোর্টার: দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটক এলাকা ও থানা মোড়ের বেশ কয়েকটি ডিলার পয়েন্ট ও দোকানে গতকাল সোমবার অভিযান চালিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ সময় থানা মোড়ের মেসার্স নাঈম ট্রেডার্সে বেশি দামে রাসায়নিক সার বিক্রির অভিযোগে জরিমানা করা হয়। ৫০ কেজির এক বস্তা টিএসপি (ট্রিপল সুপার ফসফেট) সারের সরকার নির্ধারিত মূল্য ১ হাজার ১০০ টাকা। অথচ প্রতি বস্তা সার বিসিআইসি ও বিএডিসির ডিলার মেসার্স নাঈম ট্রেডার্সে ১ হাজার ৭৮০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছিলো। এভাবে প্রতি বস্তা সারে ৬৮০ টাকা বেশি নেয়ার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানটির মালিক হাসানুল নাঈমকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে ওই সার ডিলারকে ভবিষ্যতে এ ধরনের অপতৎপরতা থেকে বিরত থাকতে সতর্ক করা হয়।
দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা (এসএএও) মো. জালাল উদ্দিন, উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওবাইদুল ইসলামসহ দামুড়হুদা মডেল থানার পুলিশের একটি দল অভিযানে সহযোগিতা করেন। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয় সূত্র জানায়, কৃষকদের চাহিদা অনুযায়ী সরকার ভর্তুকি মূল্যে প্রয়োজনীয় রাসায়নিক সার সরবরাহ করে আসছে। কৃষক পর্যায়ে প্রতি কেজি ইউরিয়া ২২ টাকা, প্রতি কেজি টিএসপি (ট্রিপল সুপার ফসফেট) ২২ টাকা, প্রতি কেজি এমওপি (মিউরেট অব পটাশ) ১৫ টাকা ও প্রতি কেজি ডিএপি (ডাই-অ্যামোনিয়া ফসফেট) ১৬ টাকা দর নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু বিসিআইসি ও বিএডিসির কিছু সার ডিলার শর্ত ভেঙে বাড়তি দামে সার বিক্রি করে থাকেন।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ জানান, বীজ, সার ও কীটনাশকের বাজার দর যাচাইয়ে আজ (গতকাল) দুপুরে দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটক এলাকা ও থানা মোড়ে বেশ কয়েকটি ডিলার পয়েন্ট ও দোকানে অভিযান চালানো হয়। এ সময় থানা মোড়ের মেসার্স নাঈম ট্রেডার্সে বেশি দামে রাসায়নিক সার বিক্রির অভিযোগের সত্যতাও পাওয়া যায়। প্রতিষ্ঠানটির মালিক হাসানুল নাঈম নিজেও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে নিজের অপরাধ স্বীকার করেন। এরপর ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪০ ও ৫১ ধারায় তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।