জীবননগর ব্যুরো: জীবননগরে রাতের আঁধারে ভৈরব নদ খননের বিক্রি করা মাটি পাচার হচ্ছে ইটভাটায়। প্রতিদিন স্থানীয় ইটভাটার ট্রাক্টর মাটি নেয়ার সময় পাঁকা রাস্তা মাটি পড়ে সয়লাব। আর সড়কগুলোতে বৃষ্টির পানি পড়ে তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে বৃষ্টির পানিতে জীবননগর-চুয়াডাঙ্গা সড়কে মনোহরপুর মা-বাবা ইটভাটার সামনে একটি মোটর সাইকেল দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এ ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক তার গাড়ি সড়কে ফেলে অবরোধ করে। এসময় তার সাথে আসা আরো দুই মোটরসাইকেল আরোহীর সাথে স্থানীয় মানুষ সড়কে চলাচলকারী গাড়ী থামিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।
তবে পুলিশের পক্ষ থেকে সড়ক অবরোধের ঘটনাটি অস্বীকার করে জানান, বৃষ্টির পানিতে আঞ্চলিক সড়ক পিচ্ছিল হয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে চালক পড়ে আহত হন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাস্তা থেকে মোটরসাইকেলটি সরিয়ে দিলে গাড়ী চলাচল স্বাভাবিক হয়।
স্থানীয়রা জানান, জীবননগর-চুয়াডাঙ্গা সড়কের মা-বাবা ইটভাটার সামনে রাস্তায় মাটি পড়ে বৃষ্টিতে পিচ্ছিল হয়ে পড়ে। চুয়াডাঙ্গার আলুকদিয়া থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে জীবননগরের দিকে আসার পথে বৃষ্টিতে পিচ্ছিল রাস্তায় মোটরসাইকেল নিয়ে চালক ছিটকে পড়ে যান। পরে মোটরসাইকেলটি রাস্তায় পড়ে থাকা অবস্থায় তার সহযোগিরা আরো দুই মোটরসাইকেল নিয়ে এসে রাস্তায় ফেলে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। এসময় স্থানীয় জনতা তাদের সাথে যোগ দিয়ে প্রতিবাদ করে। এসময় ওই সড়কে চলাচলে বাধা পেয়ে দুইপাশে বেশ কয়েকটি গাড়ি আটকে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল খালেক জানান, রাস্তায় মাটি পড়ে বৃষ্টিতে পিচ্ছিল হওয়ায় মোটরসাইকেল চালক পড়ে আহত হন। তার মোটরসাইকেল রাস্তায় পড়ে থাকায় গাড়ি চলাচলে বাধা হয়। পুলিশ পাঠিয়ে রাস্তা থেকে মোটরসাইকেলটি সরিয়ে দেয়ায় আবারো যান চলাচল শুরু হয়।
জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুল ইসলাম জানান, ইটভাটার মালিকদের মাটি বহনের সময় ট্রাক্টরের ওপর কিছু দিয়ে ঢেকে রাখার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। তারপরও এ নিয়ম যারা অমান্য করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।