স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় বেপরোয়া মাটিবাহী ট্রাক্টরের ধাক্কায় আল আমিন লিখন নামের এক স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে। রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে স্কুল থেকে প্রাইভেট পড়ে বাইসাইকেলযোগে বাড়ি ফিরছিলো লিখন। দর্শনা-কার্পাসডাঙ্গা সড়কের রামনগর মিতালী মাইক সার্ভিসের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ১৩ বছর বয়সী আল আমিন দর্শনা পৌর এলাকার রামনগর তালবাগানপাড়ার আশরাফুল ইসলামের ছেলে। সে মেমনগর বিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিলো।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, সকালে আল আমিন প্রাইভেট পড়ে সাইকেলযোগে বাড়ি ফিরছিলো। এ সময় রামনগর গ্রামের মোড়ে পৌঁছুলে বেপরোয়া গতির মাটিবাহী ট্রাক্টর তাকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে তাকে স্থানীয় ক্লিনিকে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
জানা গেছে, দুপুরে প্রাইভেট পড়া শেষে বাইসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলো আল আমিন। পথে রামনগর মাইকপট্টির কাছে পৌঁছুলে সাইকেলের চেইন পড়ে যায়। সেই চেইন তুলতে গেলে দর্শনা থেকে ছেড়ে আসা কার্পাসডাঙ্গাগামী দ্রুতগতির ট্রাক্টরটি তাকে ধাক্কা দেয়। এতে রাস্তার ওপর ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয় আল আমিন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এসময় ট্রাক্টরের ড্রাইভার আকন্দবাড়ীয়া গ্রামের সবুজ পালিয়ে রক্ষা পায়। সেই সাথে লেবাররাও পালিয়ে যায়। দর্শনা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ট্রাক্টরটি জব্দ করে থানায় নিয়ে আসে।
এ ঘটনায় দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি এ এইচ এম লুৎফুল কবির বলেন, আমরা ঘটনাস্থল থেকে মাটি বোঝায় ট্রাক্টরটি জব্দ করেছি। তবে পারিবারিকভাবে কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ ময়না তদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি। সড়ক দুর্ঘটনায় একমাত্র ছেলে লিখনকে হারিয়ে বাবা মা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। তাকে রামনগর গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এ মর্মান্তিক মৃত্যর ঘটনায় পরিবারসহ গ্রাম জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। লিখনের জানাজা ও দাফনকালে উপস্থিত থেকে গভীর শোক প্রকাশ করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাদুল ইসলাম আজাদ, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক মাহফুজুর রহমান মঞ্জু, দর্শনা পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান এসএএম জাকারিয়া আলম, কামাল উদ্দিন, বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান বুলেট প্রমুখ।