বাগেরহাটে আবাসিক হোটেল থেকে মোসা. নাসিমা খাতুন (৩৪) নামের এক নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুরে বাগেরহাট শহরের রাহাতের মোডের বিলাস হোটেল থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে বাগেরহাট মডেল থানা পুলিশ। এ সময় ওই নারীর স্বামী রবিউল ইসলাম রুবেল (২৩) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
নিহত নাসিমা খাতুন ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার ত্রিবেনী দক্ষিণপাড়া এলাকার ওলীদ মিয়ার মেয়ে। সে ঢাকার সাভার এলাকার একটি গার্মেন্টে চাকরি করত। আটক রবিউল ইসলাম রুবেল ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার চতুরা গ্রামের মো. শহিদুল ইসলামের ছেলে। শুক্রবার বিকালে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে হোটেল বিলাসে উঠেছিলেন তারা দুইজন।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আটক রুবেল জানান, ২০১৫ সালে ঝিনাইদহ পলিটেকনিকে পড়ার সময় তার সঙ্গে সখ্যতা গড়ে ওঠে ১১ বছরের বড় স্বামী পরিত্যক্তা মোসা. নাসিমা বেগমের। সেই সূত্র ধরে ওই বছর ২ মে একটি বাড়িতে আটকে রুবেলের সঙ্গে নাসিমাকে বিয়ে দেয় তার পরিবার। পরবর্তীতে রুবেল নাসিমাকে নিয়ে তার বাড়িতে আসেন।
২০১৬ সালে রুবেলের পরিবার থেকে চলে যায় নাসিমা। পরবর্তীতে রুবেলের নামে অত্যাচার নির্যাতনের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করে নাসিমা। দুইজনের যোগাযোগ বন্ধ থাকে। এর মধ্যে রুবেল আবারো বিয়ে করেন। কিন্তু এক বছর থেকে নাসিমা এবং রুবেলের মধ্যে আবারো মুঠোফোনে যোগাযোগ এবং দেখা সাক্ষাৎ হতে থাকে।
বিলাস হোটেলের ম্যানেজার মো. হুমায়ুন বলেন, রুবেল এবং নাসিমা এর আগেও আমাদের হোটেলে থেকেছে। তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে আমাদের হোটেলে থাকেন। এর থেকে বেশি কিছু আমি জানি না।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজিজুল ইসলাম বলেন, হোটেল বিলাসের একটি কক্ষে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় আমরা নাসিমার মরদেহ উদ্ধার করেছি। তার সঙ্গে থাকা যুবক রবিউল ইসলাম রুবেলকে আমরা আটক করেছি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হোটেলের ম্যানেজার মো. হুমায়ুনকেও থানায় আনা হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে নিহতের মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবারের লোকদের খবর দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।