প্রতীক পেয়েই ভোটের মাঠে আনুষ্ঠানিক প্রচারযুদ্ধ শুরু

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ সম্পন্ন

স্টাফ রিপোর্টার: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শুরু হয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা প্রতীক বরাদ্দ পেয়েই নির্বাচন প্রচারে নেমে পড়েছেন। মাঠের বিরোধী দল বিএনপি নির্বাচনে না এলেও নির্বাচন বেশ জমজমাট হওয়ার আভাস মিলেছে। কোথাও আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সঙ্গে স্বতন্ত্র, কোথাও জাতীয় পার্টি, কোথাও অন্য দলের প্রার্থীর সঙ্গে তুমুল লড়াই হওয়ার জোর সম্ভাবনা রয়েছে। অনেকে নির্বাচনি পোস্টার আগেই ছেপে রেখেছিলেন, গতকাল সোমবার নির্বাচনি এলাকার বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় তা টানানো শুরু হয়েছে। শতাধিক আসনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের। প্রচারণার শুরুতে কিছু জায়গায় সংঘাত-সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে। দুর্গম এলাকা ছাড়া নির্বাচনে মহানগর, জেলা ও উপজেলা সদরসহ অধিকাংশ এলাকায় ভোটের দিন সকালে ব্যালট পেপার পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সেনা মোতায়েনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগকে চিঠি দিয়ে ইসি বলেছে, উপজেলা ও থানা পর্যায়ে সেনা মোতায়েন করতে হবে। ২৯ জানুয়ারি থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন থাকবেন। রাজনৈতিক বিরোধের মধ্যেই গত ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। ১৬টি রাজনৈতিক দল নির্বাচন বর্জন করে রাজপথে আন্দোলনে রয়েছে। অন্যদিকে ২৭টি রাজনৈতিক দল এবারের ভোটে অংশ নিচ্ছে। গণতন্ত্রী পার্টির নেতৃত্বের প্রতীক পেয়েই ভোটের লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং তাদের সমর্থকদের মিছিল, গণসংযোগ, পথসভা ও উঠোন বৈঠকসহ নানা প্রচারণায় চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহসহ সারাদেশেই বইছে নির্বাচনি হাওয়া। মূল সড়ক, অলিগলিসহ সবখানেই শুরু হয়েছে বিভিন্ন প্রতীকের সেøাগান। চায়ের দোকান, অফিস-আদালত, রাস্তাঘাট, গণপরিবহণ, এমনকি ক্লাবপাড়ার আলোচনাতেও অনেকটা একক ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে নির্বাচন। গতকাল সোমবার সকাল থেকে দেশের প্রতিটি সংসদীয় আসনে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে প্রতীক পাওয়ার পরপরই দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রার্থীরা নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে মিছিল ও জনসংযোগে নামেন। দল মনোনীত প্রার্থীদের প্রতীক জানা থাকায় আগে থেকেই প্রস্তুত ছিলেন নেতাকর্মী। ফলে তারা দ্রুত দলীয় প্রতীকের ব্যানার, ফেস্টুন, হ্যান্ডবিল নিয়ে প্রচার শুরু করেন। দলীয় প্রার্থীদের পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও প্রচারে নেমেছেন। দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া সারা দেশে উৎসবমুখর পরিবেশেই শুরু হয়েছে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা। সরেজমিন নির্বাচনি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সবখানেই আনুষ্ঠানিক নির্বাচনি প্রচারণার ঢল নেমেছে। নেতাকর্মী সমর্থকরা এ কার্যক্রমে গতি আনতে সর্বোচ্চ তৎপরতা চালাচ্ছে। প্রচার-প্রচারণায় আরও নতুন কোনো কৌশল নেয়া যায় কিনা তা নিয়ে চলছে প্রার্থীদের মধ্যে তুমুল পাল্লা। জোগাড় করা হচ্ছে প্রচারণার জন্য ভাড়াটে লোকজন। তাদের মধ্যে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, সাধারণ গৃহিনী ও বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ রয়েছে। অনেকে আবার শখের বশে এ তালিকায় নাম লিখিয়েছে। প্রার্থীর নিকটাত্মীয়স্বজন কিংবা ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা তাদের ম্যানেজ করছেন। চুয়াডাঙ্গার দুটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা প্রার্থী এবং তাদের নাম প্রস্তাবকারী ও সমর্থকদের উপস্থিতিতে প্রতীক বরাদ্দ দেন। রিটার্নিং কর্মকর্তা এ সময় প্রার্থীদেরকে নির্বাচন আচরণবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাজমুল হামিদ রেজা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কবির হোসেন ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোতাওয়াক্কিল রহমানসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন (নৌকা), জাতীয় পার্টির সোহরাব হোসেন (লাঙ্গল), ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) ইদ্রিস চৌধুরী (আম) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী এম.এ রাজ্জাক খান (ফ্রিজ), দিলীপ কুমার আগরওয়ালা (ঈগল) ও এম শহিদুর রহমান (ট্রাক) প্রতীক পেয়েছেন। চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হাজি আলী আজগার টগর (নৌকা), জাতীয় পার্টির অ্যাড. রবিউল ইসলাম (লাঙ্গল), জাসদের দেওয়ান মোহাম্মদ ইয়াছিনউল্লাহ (মশাল), এনপিপির ইদ্রিস চৌধুরী (আম), জাকের পার্টির আব্দুল লতিফ খান (গোলাপফুল) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী নুর হাকিম (ঈগল) ও আবু হাশেম রেজা (ট্রাক) প্রতীক পেয়েছেন। সভায় জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, মেহেরপুরে মঙ্গলবার বিকেলে আচরণবিধি সংক্রান্ত সভায় উপস্থিত হওয়ার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা উপস্থিত থাকবেন। এ সভায় নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবিব খান (অব.) প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধি মেনে প্রচারণা চালাবেন। আপনাদের অনুসারিদের কাছে আচরণবিধির বার্তা পৌঁছিয়ে দেবেন। যথাসময়ে যথানিয়মে সহযোগিতা করবেন। চুয়াডাঙ্গাতে শান্তিপ্রিয় অবস্থা বিরাজ করছে। তার কৃতিত্ব আপনাদের। আচরণবিধি সম্পর্কে তিন মিনিটের ভিডিও ক্লিপ সভায় প্রদর্শন করা হয়। দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রচারণা করতে পারবেন। আচরণবিধি মোতাবেক ক্যাম্প ও মাইক ব্যবহার করতে পারবেন। পোষ্টার ও ব্যানার সাদাকালো এবং দড়ি দিয়ে পোষ্টার ঝুলাতে পারবেন। আগামী ৭ জানুয়ারি রোববার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। চুয়াডাঙ্গা-১ সংসদীয় আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৮৩ হাজার ৯৮০ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৪১ হাজার ৩৮৭ জন এবং নারী ভোটার ২ লাখ ৪২ হাজার ৫৮৯ জন। মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১৮১টি। মোট ভোটকক্ষের সংখ্যা এক হাজার ১২৭টি। চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৬৬ হাজার ৯৮ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৩৪ হাজার ৪৪২ জন এবং নারী ভোটার ২লাখ ৩১ হাজার ৬৯২ জন। মোট ভোটকেন্দ্রে সংখ্যা ১৭৩টি। মোট ভোটকক্ষের সংখ্যা এক হাজার ৯৫টি। প্রার্থীরা প্রতিটি আসনে ভোটার প্রতি ১০ টাকা হারে সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারবেন।
মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। এতে মেহেরপুর-১ (মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগর) আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ফরহাদ হোসেন (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রফেসর আব্দুল মান্নান (ট্রাক), মো. জয়নাল আবেদিন (ঈগল), জাতীয় পার্টির মো. আব্দুল হামিদ (লাঙ্গল), মেহেরপুর জেলা ন্যাশনাল পিপলস পার্টির তরিকুল ইসলাম লিটন (আম) ও কৃষক মুক্তি জোটের মো. বাবুল জম (ছড়ি) প্রতীক পেয়েছেন। নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার জেলা প্রশাসক মো. শামীম হাসান প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক তুলে দেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ফরহাদ হোসেনের পক্ষে মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস প্রতীক গ্রহণ করেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রফেসর আব্দুল মান্নান নিজে উপস্থিত থেকে প্রতীক গ্রহণ করেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক অ্যাড. মিয়াজান আলী, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ মো. গোলাম রসুল, সহ-সভাপতি আব্দুল মান্নান ছোট প্রমুখ তার সাথে ছিলেন। সাবেক সংসদ সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ মো. জয়নাল আবেদিনের প্রক্ষে তার শ্যালক নুরুল ইসলাম প্রতীক গ্রহণ করেন। এছাড়াও জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মো. আব্দুল হামিদ, মেহেরপুর জেলা ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সহ-সভাপতি মো. তরিকুল ইসলাম লিটন ও কৃষক মুক্তি জোটের মো. বাবুল জম নিজ নিজ প্রতীক গ্রহণ করেন। প্রতীক বরাদ্দের সময় উপস্থিত ছিলেন-সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী নাজিব হাসান, গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রতিম শাহ, জেলা নির্বাচন অফিসার মো. ওয়ালিল্লাহ প্রমুখ। মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনে প্রার্থীদের মধ্যে নির্বাচনি প্রতীক দেয়া হয়। এ সময় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আবু সালেহ মো. নাজমুল হককে (নৌকা), জাতীয় পার্টির কেতাব আলীকে (লাঙ্গল), তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী আব্দুল গণীকে (সোনালি আঁশ), সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মো. শাহজামালকে (ছড়ি), এনপিপির প্রার্থী গোলাম রসুলকে (আম), বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী আল ফারুককে (ডাব) ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী মকবুল হোসেনকে (ট্রাক) প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। এদিকে প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পরপরই প্রার্থীরা নির্বাচনি প্রচারে নেমে পড়েছেন।
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। গতকাল সোমবার দুপুরে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ঝিনাইদহের ৪টি আসনের ২৬ জন প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ সময় প্রার্থীদের হাতে প্রতীক তুলে দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক এস.এম রফিকুল ইসলাম। জানা যায়, ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল হাই (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলাম (ট্রাক), স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিয়া আফরিন (ফুলকপি), জাতীয় পার্টির মনিকা আলম (লাঙ্গল), তৃণমূল বিএনপির কে এম জাহাঙ্গীর মাজমাদার (সোনালী আঁশ), বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) আবু বকর (টেলিভিশন), ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টির (এনপিপি) আনিচুর রহমান (আম) প্রতীক বরাদ্দ পান। এদিকে ঝিনাইদহ-২ আসন থেকে বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ মনোনীত তাহজীব আলম সিদ্দিকী (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল (ঈগল), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) সমর্থিত ফজলুল কবির (মশাল), বাংলাদেশ কংগ্রেস নাসির উদ্দিন (ডাব), জাতীয় পার্টির মাহফুজুর রহমান (লাঙ্গল), তৃণমূল বিএনপির জামিরুল ইসলাম (সোনালী আঁশ), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) নজরুল ইসলাম (একতারা), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের শরীফ মোহাম্মদ বুলবুল হায়দার (ছড়ি), এনপিপির মিজানুর রহমান মিজু (আম), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির আব্দুল হান্নান খাঁ (হাত ঘড়)ি ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) সমর্থিত খোন্দকার হাফিজুর রহমান ফারুক (কুঁড়ে ঘর) প্রতীক বরাদ্ধ পান। ঝিনাইদহ-৩ আসন থেকে বর্তমান সংসদ সদস্য শফিকুল আজম খান চঞ্চল সতন্ত্র (ট্রাক), জাতীয় পার্টির আব্দুর রহমান (লাঙ্গল), সতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য নবী নেওয়াজ (ঈগল), আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সালাহ উদ্দিন মিয়াজী (নৌকা) প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন। ঝিনাইদহ-৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত বর্তমান সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার (নৌকা), সতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রশিদ খোকন (ট্রাক), জাতীয় পার্টির এমদাদুল ইসলাম বাচ্চু (লাঙ্গল), সতন্ত্র নজরুল ইসলাম (ঈগল), ও তৃণমূল বিএনপির নুর উদ্দিন আহম্মেদ (সোনালী আঁশ) প্রতীক বরাদ্দ পান।