চুয়াডাঙ্গায় কম্বল বিতরণ : শীতার্তদের পাশে দাঁড়াতে বিত্তবানদের প্রতি জেলা প্রশাসকের আহ্বান
স্টাফ রিপোর্টার: চলতি সপ্তাহের শেষ নাগাদ মৃদু শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে। তবে তা সারাদেশব্যাপী আসার সম্ভাবনা নেই। বিশেষ করে রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের কিছু অঞ্চলে এই মৃদু শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সাধারণত তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে সেটা মৃদু শৈত্যপ্রবাহের পর্যায়ে পড়ে। শনিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া উত্তরাঞ্চলের প্রায় সব জেলায়ই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি ছিল।
এদিকে, শীতের শুরুতেই চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরের ডিসি সাহিত্য মঞ্চে এ কম্বল বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রায় সব দিকেই খেয়াল রাখেন। তিনি সবার কথা ভাবেন। শীতে কেউ যেন কষ্ট না করে, সেদিকেও তাঁর লক্ষ্য আছে। সরকারিভাবে যেসব কম্বল এসেছে পর্যায়ক্রমে শীতার্তদের মাঝে বিতরণ করা হবে।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলার চার উপজেলার ইউএনওদের মাধ্যমে বন্টনকৃত কম্বল বিতরণ করা হবে। ইতি মধ্যেই ইউএনওদের হাতে তা হস্তান্তর করা হয়েছে। শীতে কাউকে যেন কষ্ট করতে না হয়, সেজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সজাগ দৃষ্টি রাখছেন। পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদেরও এগিয়ে আসতে হবে। শীতার্তদের পাশে দাঁড়াতে হবে। সরকার শীতার্তদের পাশেই রয়েছেন।
কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাজিয়া আফরিন, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম ভুইয়া, পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুজ্জামান চাঁদ, জেলা প্রশাসক কন্যা রুপকথা প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ভারপ্রাপ্ত জেলা ত্রাণ অফিসার হাবিবুর রহমান।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানাগেছে, এ বছর জেলা প্রশাসনের ত্রাণ তহবিলে ২০ হাজার ৭শ’ কম্বল এসেছে। যা জেলার চার উপজেলা প্রশাসনে বণ্টন করে শীতার্তদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে। এ ছাড়াও জেলা প্রশাসনে ৩ লাখ টাকা, উপজেলা প্রশাসনে ৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা ও পৌরসভায় ২ লাখ টাকা করে দেয়া হয়েছে। শনিবার চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ৮ এবং ৯নং ওয়ার্ডে ২৯৭ জনকে কম্বল দেয়া হয়।
শনিবার সন্ধ্যা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সকালের দিকে সারাদেশের কোথায়ও কোথায়ও হালকা কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। আগামী তিন দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে রাতের তাপমাত্রা আরো কমতে পারে। আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এখন থেকে পর্যায়ক্রমে তাপমাত্রা কমবে। কয়েকটি বিভাগে এখন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যে স্থানে আছে তাতে প্রতিদিন এক ডিগ্রি বা তার কম তাপমাত্রা কমলেও সপ্তাহের শেষ নাগাদ সেখানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহের পর্যায়ে চলে যাবে। তবে রাজধানীতে চলতি সপ্তাহে তাপমাত্রা খুব বেশি কমার সম্ভাবনা নেই।’ আবহাওয়াবিদ আরও বলেন, ‘চলতি মাসের শেষ নাগাদ সারাদেশেই তাপমাত্রা কমবে। একইসঙ্গে একাধিক এলাকায় মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।