স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা পৌর বাস টার্মিনালের অদূরে সড়কের পাশে ময়লা-আবর্জনা ফেলে পরিবেশ দূষণ করা হচ্ছে। চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা থেকে ময়লা এনে ফেলা হয় সেখানে। রাস্তার পাশের এ ময়লার স্তূপ থেকে বের হওয়া উৎকট দুর্গন্ধে পথচারীদের যেমন চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে, ঠিক তেমনি ওই এলাকায় যারা বসবাস করছেন তাদেরও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, রাস্তার পাশে ফেলা এসব ময়লার ভাগার দিন দিন বড় হচ্ছে। এসব ময়লা থেকে প্রতিনিয়ত যে দুর্গন্ধ ও ময়লার স্তূপে আগুন ধরানোর কারণে যে ধোঁয়া বের হচ্ছে। তাতে দূষিত হচ্ছে বাতাস এবং দুর্গন্ধময় পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে। এতে মারাত্বকভাবে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি। স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের পাশাপাশি পথচারীদের নাকে কাপড় চেপে চলাচল করতে হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, চুয়াডাঙ্গা শহরের প্রবেশপথ পৌর বাস টার্মিনালের নিকট রাস্তার পাশে প্রচুর পরিমাণে ময়লা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। যার ফলে বড় বড় ময়লা আবর্জনার স্তূপ তৈরি হচ্ছে। কুকুর এসব ময়লা মুখ দিয়ে টেনে রাস্তায় ছিটিয়ে রাখছে। পঁচা ময়লা আবর্জনার কারণে চরম দুর্গন্ধময় পরিবেশের সৃষ্টি হচ্ছে। নাকে কাপড় দিয়ে ও হাত দিয়ে মুখ ঢেকে পথচারীদের চলাচল করতে দেখা যায়। এইস্থান থেকে চলাচলে ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ভ্যানচালক আব্দুল হামিদ বলেন, প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে কয়েকবার যাওয়া-আসা করা লাগে। রাস্তার পাশে ময়লা ফেলায় যে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে তাতে কারও পক্ষেই নিঃশ্বাস নিয়ে এ রাস্তা পার হওয়া সম্ভব নয়। এখান দিয়ে যতবারই যাই নাক বন্ধ করেই দ্রুত চলে যাওয়ার চেষ্টা করি।
কাউসার নামে এক পথচারী বলেন, বিভিন্ন এলাকা থেকে ময়লা আবর্জনা নিয়ে এসে এখানে স্তূপ আকারে রাখা হচ্ছে। দিন দিন এর পরিমাণ বাড়ছে। এই রাস্তা দিয়ে যাওয়া-আসা করা দায় হয়ে গেছে। কোনো প্রাণী মারা গেলেও এখানে নিয়ে এসে ফেলা হচ্ছে। যার ফলে প্রাণীর মরদেহ পঁচে দুর্গন্ধময় পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, পৌরসভার আবর্জনা অপসারণ ও ব্যবস্থাপনার জন্য ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণের কাজ শুরু হয় তিন বছর আগে ২০২০ সালে। নির্মাণের কাজ এখন প্রায় শেষের দিকে। শেষ হয়ে ডাম্পিং স্টেশন চালু হলে সব আবর্জনা এক জায়গায় নিয়ে শোধন করে তৈরি হবে জৈব সার, প্লাস্টিকের পণ্য, আরও অন্যান্য দ্রব্য।
চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম ভূইয়া বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে প্রায় ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে চুয়াডাঙ্গা সুমিরদিয়া এলাকায় নির্মিত ডাম্পিং স্টেশনটির কাজ প্রায় শেষের দিকে। আশা করছি খুব দ্রুত চালু করতে পারবো। ডাম্পিং স্টেশনটি চালু হয়ে গেলে পৌরবাসী এই দুর্ভোগ থেকে খুব শিগগিরই স্বস্তি ফিরে পাবে।