স্টাফ রিপোর্টার: রোগীর সাথে প্রতারণার অপরাধে হাসপাতাল এলাকার চিহ্নিত দালাল হাটকালুগঞ্জের দিপুকে জেল দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল রোববার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাকে একমাসের কারাদ- দেয়া হয়। গত শনিবার কমদামে ওষুধ কিনে দেয়ার কথা বলে এক রোগীর কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। এর আগেও একাধিক রোগীর সাথে প্রতারণার ঘটনায় বেশ কয়েকবার তাকে পুলিশে দেয়া হয়। গ্রামাঞ্চল থেকে আসা এবং সাধাসিধে রোগীই মূল টার্গেট থাকে দিপুসহ প্রতারকচক্রের। দালালচক্রের হোতা দ-প্রাপ্ত দিপু চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হাটকালুগঞ্জের ফজলুল হকের ছেলে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার মাস্টারপাড়ার আব্দুল মোমিনের ছেলে আনারুল ইসলাম আলার (২৮) পায়ে পেরেক ঢুকে যায়। গত শনিবার সকালে পায়ের এক্সরে করার জন্য তার মায়ের সাথে হাসপাতাল এলাকায় আসেন আনারুল। এসময় দেখা হয় দিপুর সাথে। মুহূর্তেই ডাক্তার বনে যায় দালালচক্রের হোতা দিপু। আনারুলের কাছে সবকিছু শুনে এক্সরে করার প্রয়োজন নেই বলে সাফ জানিয়ে দেন তিনি। নিজেই কিছু ওষুধ লিখে দেন। এরপর ওষুধগুলো কমদামে কিনে দেয়ার কথা বলে আনারুলের কাছ থেকে ৪শ’ টাকা নেন। কিছু ওষুধ দিয়ে আরও ২শ’ টাকা দাবি করেন দিপু। আনারুলের কাছে টাকা না থাকায় তার মায়ের আঁচল থেকে ৬০ টাকাও নিয়ে নেন তিনি। পরে তাদের জোর করে ইজিবাইকে তুলে দিয়ে সটকে পড়ে দিপু। এ সময় আনারুল ইজিবাইক থেকে নেমে এক ওষুধের দোকানে গিয়ে জানতে পারেন তার কাছ থেকে ৪৬০ টাকা নিয়ে মাত্র ১৪০ টাকার ওষুধ দিয়েছে দিপু। পরে দিপুকে অনেক খোঁজাখুজি করেও না পেয়ে অবশেষে বাড়ি ফিরে যান তিনি।
গতকাল রোববার পায়ের চিকিৎসার জন্য আবারও হাসপাতালে আসেন আনারুল। ডাক্তার দেখিয়ে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শামীম কবিরের কাছে অভিযোগ করেন তিনি। অভিযোগের ভিত্তিতে দিপুকে হাজির করেন ডা. শামীম কবির। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহা. সাদিকুর রহমানকে খবর দিলে তিনি সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে দিপুকে এক মাসের কারাদ- প্রদান করেন। ডা. শামীম কবির বলেন, রোগীর সাথে প্রতারণার অভিযোগে এর আগে তিনবার দিপুকে ধরে পুলিশে দেয়া হয়।