দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গণউপদ্রুব করার অপরাধে হাসপাতাল গেটের হুসাইন মোহাম্মদ রিপন (৩০) নামের এক ওষুধ ব্যবসায়ীকে কারাদ- দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এর প্রতিবাদে হাসপাতালের প্রধান গেট আটকিয়ে সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন হাসপাতাল গেটের বিক্ষুব্ধ ওষুধ ব্যবসায়ীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ। ঘটনাটি শুনামাত্র হাসপাতাল গেটে ছুটে যান দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু। এ সময় তিনি ওষুধ ব্যবসায়ীদেরকে শান্ত করে সকল ভেদাভেদ ভুলে পুণরায় দোকান পাট খুলে সুশৃঙ্খলভাবে ব্যবসা করার আহ্বান জানান। স্থানীয় ও ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রোববার দুপুর আনুমানিক ১টার দিকে অভিযুক্ত দামুড়হুদা উপজেলার চিৎলা গ্রামের হারুন সরদারের ছেলে হুসাইন মোহাম্মদ রিপন (৩০) দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গণউপদ্রুব করার অভিযোগ আটক করে দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ। তাকে আটকের পর পুলিশ বিষয়টি অবগত করেন দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতাকে। (ইউএনও) রোকসানা মিতা দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজল কুমার দাসকে ঘটনাস্থলে পাঠান। ঘটনাস্থলে পৌঁছুলে তিনি আটককৃত অভিযুক্তর মুখে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত শুনেন। এ সময় অভিযুক্ত তার অপরাধ স্বীকার করলে তাৎক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সজল কুমার দাশ দন্ডবিধি ১৮৬০সালের ২৯১ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে অভিযুক্ত হুসাইন মোহাম্মদ রিপনকে ৫দিনের বিনাশ্রম কারাদ- দেন এবং ভবিষ্যতে আর এ ধরণের অপরাধ করবে না মর্মে মুচলেকা নেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ফারহানা ওয়াহিদ তানি, দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি সাইফুল ইসলাম, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হযরত আলীসহ স্থানীয় জণপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক রোকসানা খাতুনের সাথে অভিযুক্ত হুসাইন মোহাম্মদ রিপনের উচ্চ বাক্য বিনিময় হয় এবং কর্তব্যরত চিকিৎসককে ভয়ভীতি প্রদর্শন করার অভিযোগ করা হয় চিকিৎসকের পক্ষ থেকে।