স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার নাটুদহ ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে সরকারি জলমহাল অবৈধভাবে খাস বন্দোবস্ত দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মিজানুর রহমান প্রথম পক্ষ হিসেবে দ্বিতীয় পক্ষ জুড়ানপুর ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেনের কাছে ২ কোটি ২০ লাখ ৬১ হাজার টাকায় ‘বিল দলকা’ জলমহাল বন্দোবস্ত দেয়ার বিষয়টি সম্প্রতি জানাজানি হওয়ায় প্রকৃত মৎসজীবীদের মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, জুড়ানপুর ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেনের কাছে বিল দলকা বন্দোবস্ত দিয়ে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের সরকারি জলমহাল বন্দোবস্ত নীতিমালা চরমভাবে লঙ্ঘন করেছেন। এতে সরকার বিপুল অংকের রাজস্ব হতে বঞ্চিত হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার জুড়ানপুর ইউনিয়নের ভগিরাথপুর, ছুটিপুর, পোতারপাড়া, দলিয়ারপুর, গোপালপুর, গয়েশপুর ও লক্ষ্মীপুর গ্রাম ঘেঁষে বিল দলকার অবস্থান। এর আয়তন ৮২৮ বিঘা (২৭৬ দশমিক ৪৮ একর)। এটি জেলার সবচেয়ে বড় বিল। দেশি প্রজাতির মাছের জন্য এই বিলের খ্যাতি আছে। কিন্তু বিগত ১৩ বছর ধরে প্রকৃত মৎস্যজীবীরা এই বিলের সুবিধা থেকে বঞ্চিত। মৎস্যজীবীদের অভিযোগ, বিল থেকে দেশি প্রজাতির মাছ ধ্বংসের পথে।
সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকারি বিধি মেনে ভূমি মন্ত্রণালয় ১৪২৫ এর পয়লা বৈশাখ হতে ১৪৩০ বঙ্গাব্দের চৈত্রের শেষ দিন পর্যন্ত হেমায়েতপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতিকে ছয় বছরের জন্য বন্দোবস্ত দেয়। ইজারা পাওয়ার পর দুইদিনের মাথায় সমিতির সভাপতি কামাল খান জুড়ানপুর ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেনকে সাবলিজ দিয়ে দেন। এই সাবলিজের এক বছর আগে নাটুদাহ ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেনকে খাস বন্দোবস্ত প্রদান করেছিলেন। এখানে প্রশ্ন উঠেছে মিজানুর রহমান কোন ক্ষমতাবলে বিলটি বন্দোবস্ত দিলেন।
এ ব্যাপারে মিজানুর রহমানের মুঠোফোন নম্বরে যোগাযোগ করতে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।