দর্শনা অফিস: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার সীমান্তে চোরাচালানি চক্রের ফেলে যাওয়া চার কেজি (৩৪২ দশমিক ৯ ভরি) সোনার বার জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ৬ বিজিবির সদস্যরা অভিযান চালিয়ে উপজেলার দর্শনা থানাধীন রামনগর এলাকা থেকে এগুলো জব্দ করেন। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে গণমাধ্যমে পাঠানো ৬ বিজিবির পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, মোট চারটি সোনার বার জব্দ করা হয়েছে। প্রতিটি বারের ওজন এক কেজি। চারটি সোনার বারের বর্তমান বাজারমূল্য ২ কোটি ৫৭ লাখ ২০ হাজার টাকা। বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পথে ভারতে পাচারের জন্য দর্শনার রামনগরে এগুলো আনা হয়েছিলো।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, অতীতে কখনো এক কেজি ওজনের সোনার বার পাওয়া যায়নি। প্রথমবারের মতো এমন সোনার বার জব্দ করার পর তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়ার পর, তা গণমাধ্যমকে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শুক্রবার সকাল ১০টায় চোরাকারবারিরা সোনা পাচার করছে, এমন একটি খবর পাওয়া যায়। ৬ বিজিবির পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ খালেকুজ্জামানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং বারাদী সীমান্তচৌকির নায়েক মো. জুলহাস উদ্দিনের নেতৃত্বে বিজিবির বিশেষ টহল দল অভিযানে নামে। দলটি সীমান্তের ৭৮ নম্বর মেইন পিলার থেকে দেড় কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে রামনগর ঈদগাহ মাঠ এলাকা থেকে মালিকবিহীন অবস্থায় চার কেজি ওজনের সোনার বার জব্দ করে। জব্দ করা সোনার বারগুলো রাতে চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারিতে জমা শেষে দর্শনা থানায় মামলা করা হবে।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান গতকাল রাত সোয়া আটটার দিকে মুঠোফোনে সাংবাদিকদের বলেন, ৭ ডিসেম্বর সকালে একই সীমান্তের মেমনগর এলাকা থেকে ২৩টি সোনার বার জব্দ করা হয়েছিলো। ওই চালানের ওজন ছিলো ২ কেজি ৬৮৩ গ্রাম (২৩০ ভরি)। ওই চালানোর সূত্র ধরে গতকাল সকালে রামনগর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। বিজিবির বিশেষ টহল দলের উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাকারবারিরা সোনার বারসহ একটি ব্যাগ ফেলে পালিয়ে যায়। পরে তা জব্দ করে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে আসল সোনা হিসেবে নিশ্চিত করা হয়।
দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লুৎফুল কবীর রাত পৌনে নয়টার দিকে বলেন, এখন পর্যন্ত সোনার বার জব্দের ঘটনায় থানায় কোনো মামলা হয়নি।