স্টাফ রিপোটার: গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে ফেনসিডিল সেবন করতে গিয়ে গ্যাঁড়াকলে পড়েছেন এক পুলিশ সদস্যসহ তিন যুবক। ফেনসিডিল সেবনের পর টাকা চাওয়ায় মাদককারবারীর সাথে শুরু হয় তর্কবিতর্ক। একপর্যায়ে মাদককারবারীর হাতে হাতকড়া পরিয়ে দেয় গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয় দানকারী তিন যুবক। পরে সুযোগ বুঝে হাতকড়া নিয়েই পালিয়ে যান মাদককারবারী লিমন। গতকাল বুধবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা দর্শনার দক্ষিণচাঁদপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে সেখান থেকে পুলিশ সদস্য ফিরোজসহ তিন যুবককে আটক করে দর্শনা থানা পুলিশ। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা সম্ভব হয়নি। আজ তদন্তপূর্বক আটককৃতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার হাপানিয়া পুলিশ ক্যাম্পের কনস্টেবল ফিরোজ, চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার মুসলিমপাড়ার বকুলের ছেলে সোয়েব (২৮) ও আলমডাঙ্গা উপজেলার রুইতনপুর গ্রামের মকলেছের ছেলে সাজন আলী (২৮) গতকাল বুধবার বিকেল ৪টার দিকে ফেনসিডিল সেবন করতে দর্শনায় যান। তারা দর্শনা দক্ষিণচাঁদপুর মসজিদপাড়ার নজু জোয়ার্দ্দারের ছেলে লিমনের কাছে থেকে ফেনসিডিল নেন। নেশার পর অভিযুক্ত মাদককারবারী লিমন তাদের কাছে ফেনসিডিলের টাকা চাইলে শুরু হয় তর্কবিতর্ক। এসময় তারা নিজেদের চুয়াডাঙ্গা গোয়েন্দা পুলিশের সদস্য বলে পরিচয় দেন। একপর্যায়ে কনস্টেবল ফিরোজের কাছে থাকা হাতকড়া লিমনের হাতে পরিয়ে দেন তারা। এরপর মাদককারবারী লিমনের সাথে শুরু হয় দেনদরবার। দরকষাকষির একপর্যায়ে সুযোগ বুঝে হাতকড়া নিয়েই পালিয়ে যান লিমন। এ ঘটনায় হাতকড়া হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন পুলিশ সদস্য ফিরোজ। পরে রাত ৯টার দিকে দর্শনা থানা পুলিশ খবর পেয়ে পুলিশ সদস্য ফিরোজ, সাজন ও সোয়েবকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে।
দর্শনা থানার ওসি (তদন্ত) আমান উল্লাহ’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।