ডাকাতির মালামালসহ আন্তঃজেলা ডাকাতদলের ৬ সদস্যসহ ৯ জন গ্রেফতার

গাংনী প্রতিনিধি: ডাকাতি করা মালামালসহ ছয় ডাকাতসহ ৯জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মেহেরপুরের গাংনী থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে মেহেরপুর কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে। উদ্ধার করা হয় ডাকাতি করা একটি মোটরসাইকেল, দুটি মোবাইলফোন ও স্বর্ণালংকার। গ্রেফতারকৃত ডাকাতদেরকে গতকাল শুক্রবার দুপুরে মেহেরপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে ৬জন ডাকাতির সাথে সরাসরি জড়িত এবং বাকিরা ঘটনার সাথে পরোক্ষভাবে জড়িত বলে জানা যায়। আটককৃত ডাকাতদলের সদস্যরা হলেন মেহেরপুর সদর উপজেলার উত্তর শালিকা গ্রামের আবেদ আলীর ছেলে আলামিন হোসেন (২৫), শ্যামপুর গ্রামের আব্দুল বারীর ছেলে মিলন হোসেন (২৮), জেলার মুজিবনগর উপজেলার শিবপুর গ্রামের মৃত মুকুল জোয়ার্দ্দারের ছেলে আরিফুল ইসলাম ওরফে খোকন ওরফে প্রতীক (২৬), একই গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে সাকিল হোসেন (২২), একই উপজেলার পুরন্দপুর গ্রামের বাছাদ আলীর ছেলে সবুজ আলী (২৫), একই গ্রামের সেলিম রেজার ছেলে শামীম রেজা ওরফে শিপন (২৬), গাংনী উপজেলার কাথুলী গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে শামীম রেজা (২৭)। এছাড়াও ঘটনার সাথে পরোক্ষভাবে জড়িত থাকার অপরাধে আটককৃতরা হলেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বুজরুকগড়গড়ী গ্রামের বনানীপাড়ার বুদো আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম স্বর্ণকার (৪০), চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কুনিয়া গ্রামের মৃত আলাউদ্দীনের ছেলে জালাল উদ্দীন (৪৩)। মোটরাসাইকেল ক্রেতা চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদার জালাল উদ্দীন একজন পেশাদার চোরাইমোটরসাইকেল ব্যবসায়ী এবং কাথুলির শামীম রেজার কাজই চোরাই মোবাইল ফোনের কারবার করা।
গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার রাতে মেহেরপুর, কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন স্থানে পুলিশের একটি চৌকস দল তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে এসব ডাকাতকে গ্রেফতার করেন। এসময় লুণ্ঠিত একটি ১৫০ সিসি হাঙ্ক মোটরাসাইকেল, দুল ও তিনটি মোবাইলফোন উদ্ধার করা হয়। গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, গাংনী থানা পুলিশের চৌকস দলের সদস্যদের নিরলস পরিশ্রমের কারণে ডাকাতির ঘটনায় পুরো দলটিকে গ্রেফতার ও মালামাল উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। গ্রেফতারকৃত ৬ ডাকাতের বিরুদ্ধে গাংনী, মুজিবনগর, সদর ও আলমডাঙ্গাসহ আশেপাশের থানাতে ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজী, বিস্ফোরণসহ নানা অভিযোগে ৭ থেকে ৮টি করে মামলা রয়েছে। তারা জেলা এবং জেলার বাইরে বিভিন্ন স্থানে রাস্তায় গাছ ফেলে ডাকাতি করতো। বিভিন্ন স্থানের ডাকাতদের নিয়ে তারা গড়ে তুলেছে একটি সংঘবদ্ধ ডাকাতদল চক্র। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা এলাকার বিভিন্ন স্থানে ডাকাতি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধের কথা স্বীকার করেছে।
উল্লেখ্য, গত ৯ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত ৯ টার দিকে বাঁশবাড়িয়া চিৎলা সড়কের রাস্তায় গতিরোধ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। চিৎলা গ্রামের ডিস ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান তার স্ত্রী মহিমা খাতুন ও শিশু রিতাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাদের একটি বাগানের মধ্যে নিয়ে গাছে বেঁধে ফেলে। এসময় তাদের ব্যবহৃত একটি হাঙ্ক মোটরসাইকেল, তিনটি মোবাইল ফোন ও স্বর্ণালংকার নিয়ে চলে যায়। এ ঘটনায় কামরুজ্জামান বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় গতকাল শুক্রবার দুপুর ১২ টার দিকে আসামিদের আদালতের মাধ্যমে মেহেরপুর জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

Comments (0)
Add Comment