স্টাফ রিপোর্টার: বিধি-নিষেধ মানাতে পথে পথে আগের মতোই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা রয়েছে। পুলিশের তল্লাশি পেরিয়েই বাইরে বের হতে হচ্ছে সবাইকে। কঠোর বিধিনিষেধে চুয়াডাঙ্গা ও মেহেপুরসহ সারা দেশের সড়ক মহাসড়কগুলো ছিলো অনেকটাই ফাঁকা। এদিন তেমনটা চোখে পড়েনি রাস্তায় যানবাহন ও মানুষের উপস্থিতি। জরিমানা ও মামলার ভয়ে গাড়ি এবং মোটরসাইকেলের সংখ্যা আগের দিনে তুলনায় ছিলো অনেক কম। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে বের হয়েছিলেন অনেকেই।
বিধিনিষেধ সর্বাত্মকভাবে বাস্তবায়নে তৃতীয় দিনেও গতকাল শনিবার চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরের বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত, সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও আনসার সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে। বিভিন্ন জায়গায় চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশিও করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। জরুরি ছাড়া কাউকে বাইরে বের হলে তাদের বিরুদ্ধে জরিমানা ও মামলাও দেয়া হয়েছে।
এদিকে, সংক্রমণ রোধে সরকারঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ মানাতে পাড়া-মহল্লায়ও কঠোর অভিযান পরিচালনার কথা জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। গতকাল দুপুর ১২টায় রাজধানীর রাসেল স্কয়ারে বিধিনিষেধে র্যাবের কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। তিনি বলেন, ‘কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে যারা বাইরে বের হচ্ছেন তাদের অনেকেই সঠিকভাবে মাস্ক পরিধান করছেন না।’ বিধিনিষেধ মানাতে র্যাব এখন পর্যন্ত দেশব্যাপী চার শতাধিক মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছে, জরিমানা করেছে চার লক্ষাধিক টাকা। দেশ জুড়ে নিয়মিত টহল ও চেকপোস্টের বাইরে চার শতাধিক অতিরিক্ত চেকপোস্ট পরিচালনা করে যারা স্বাস্থ্যবিধি মানছেন তা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, পাড়া-মহল্লায় টহল পরিচালনার সময় দেখেছি, অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। বিভিন্ন স্টলে-দোকানে গণজমায়েত দেখা গেছে। সবার প্রতি অনুরোধ পরিবারের কথা বিবেচনা করে হলেও এই কটা দিন করোনার ঝুঁকিপূর্ণ সময় ঘরে থাকুন। অন্যথায় আমরা মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেব।
চুয়াডাঙ্গায় জেলার প্রবেশপথগুলোতে চেকপোস্ট বসিয়ে নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে। জেলার বেশ কিছু এলাকায় মানুষের চলাফেরায় দেখা গেছে কড়াকড়ি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও ছিলো কঠোর অবস্থানে। গত তিন দিনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থান ও জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়ায় সরকারের বিধি নিষেধ মেনে অধিকাংশ মানুষ ঘরেই থাকছেন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় বের হওয়া মানুষের সংখ্যা কম। তবে ভিন্ন চিত্র কাঁচাবাজার ও মাছের বাজারে। গাদাগাদি করে চলছে কেনাকাটা। লকডাউনকৃত এলাকায় প্রতিদিন সকাল ৭ টা থেকে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছেন ১৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। স্বাস্থ্যবিনি অমান্য করে যারা বাইরে বের হচ্ছেন তাদের জরিমানা করছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকালও জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১০৪ জনকে ৯১ হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। লকডাউন বাস্তবায়ন করতে গুরুত্বপূর্ন স্থানে নিয়মিত টহল দিচ্ছে ৪ প্লাটুন সেনাবাহিনী ও ৩ প্লাটুন বিজিবিসহ পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। দুপুরে শহরের শহীদ হাসান চত্বরে অভিযানের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার।
এদিকে, গতকাল দুপুরে চুয়াডাঙ্গা পৌর কলেজ রোড, নীলমণিগঞ্জ বাজার, কাথুলী বাজার, মাছেরদাইড় বটতলা মোড়, কুলচারা মোড়, সাতগাড়ি এলাকায় অভিযান চালায় সদর উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় স্বাস্থ্যবিধি না মানার অপরাধে দ-বিধি ১৮৬০ এর ১৮৮ ধারায় ৮টি প্রতিষ্ঠানকে ৪ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ সাদিকুর রহমান। এছাড়া সাতগাড়ীর শাকিল টি স্টল এর মালিক মো. শাকিলকে ৬ ঘন্টা আটকাদেশ দেন তিনি। ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাজে সহযোগীতা করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সার্টিফিকেট সহকারী সোবহান আলী।
সরোজগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, চুয়াডাঙ্গার সরোজগঞ্জ বাজারে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে ফলের দোকান খোলা রাখায় ফল ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলামকে ২০০ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া একই অপরাধে ৩জনকে ২শ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুর ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইসরাত জাহান এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এসময় আদালতকে সহযোগিতা করেন সরোজগঞ্জ ক্যাম্পের এএসআই আনোয়ার জাহিদসহ পুলিশের একটি দল
ভালাইপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে চলমান লকডাউন উপেক্ষা করে চুয়াডাঙ্গার ভালাইপুর পানের হাটের কার্যক্রম চালানো হচ্ছিলো। হাট মালিকরা পূর্ব ঘোষণা দিয়ে পান ব্যবসায়ীদের হাটে যাওয়ার জন্য বললে তারা হাটে যায়। গতকাল শনিবার সকাল থেকে হাট মালিকরা খবর জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অমান্য করে পান হাট বসেছে ভালাইপুর মোড়ে। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন ও সদর উপজেলা প্রশাসন সেখানে অভিযান চালায়। প্রশাসনের যাওয়ার খবর পেয়ে হাট ইজারাদাররা সটকে পড়েন। এ সময় সেখানে থাকা পানের বেপারী ও ক্রেতাদের জরিমানা আদায় ও সতর্ক করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন দর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ইসরাত জাহান, জেলা প্রশাসনের সহকারি কমিশনার হাবিবুর রহমান ও সবুজ কুমার সবাক ও সহিদুল আলম।
আসমানখালী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, আলমডাঙ্গার আসমানখালী বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে দুটি দোকানে জরিমানা করেছেন। গতকাল শনিবার দুপুর ১টার দিকে কঠোর লকডাউনে নিয়মশৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে আসমানখালী বাজারের মুকুল স্টোরের স্বত্বাধিকারী মুকুল হোসেনকে ৫শ টাকা ও একই বাজারের রিমি ভ্যারাইটি স্টোরের স্বত্বাধিকারী আসাদুজ্জামান নান্টুকে ১৫শ টাকা জরিমানা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন আলমডাঙ্গা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হুমায়ূন কবীর। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি দল।
দামুড়হুদা অফিস জানিয়েছে, করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় দেশব্যাপী চলমান লকডাউনের ৩য়দিনেও দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসন ছিলো সরব ভূমিকায়। শতভাগ লকডাউন বাস্তবায়নে দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসনের দুজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যদের ভূমিকাও ছিলো চোখে পড়ার মতো। গতকাল শনিবার লকডাউন বাস্তবায়নে দিনব্যাপী পৃথক উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় আদালতের বিচারক দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান লকডাউন বাস্তবায়নে ৮টি মামলায় ৯ ব্যক্তিকে ৮হাজার ৮শ টাকা জরিমানা করেন।
অপরদিকে, দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুদীপ্ত কুমার সিংহ ৫টি মামলায় ২ হাজার ৬শ টাকা জরিমানা করেন। আদালত পরিচালনায় সহায়তা করেন দামুড়হুদা মডেল থানার পরিদর্শক অপারেশন মোহাম্মদ সামসুদ্দোহা, কুড়–লগাছি ইউপি চেয়ারম্যান শাহ্ মোহাম্মদ এনামুল করিম ইনু, উপজেলা নির্বাহী অফিসের পেশকার জিহন আলি সশস্ত্রবাহীনির সদস্যরা।
আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি জানিয়েছেন, জীবননগরের আন্দুলবাড়িয়া বাজারে সরকারি নিদের্শ অমান্য করে দোকান খুলে বেচাকেনা ও স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে চলাফেরা করার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে। গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে জীবননগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেড মহিউদ্দিন ফৌজদারী কার্য বিধির ১৮৬০ এর ২৬৯ ধারায় ও সড়ক পরিবহন আইনে ২০১৮ এর ৬৬ ধারায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৩ জনকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন চলাকালে গতকাল শনিবার সন্ধ্যার দিকে মেহেরপুর সদর উপজেলার বন্দর, দফরপুর ও চাঁদবিল গ্রামের মোড়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে দুটি কফিশপসহ ৪টি দোকানের মালিকের নিকট থেকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে এবং একটি কেরাম বোর্ড জব্দ করা হয়েছে। মেহেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদুল আলম ওই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতসূত্রে জানা গেছে, সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দোকান খোলা রাখায় মেহেরপুর সদর উপজেলার বন্দর ভৈরব নদের কিনারে সুজনের কফি হাউজ ও দফরপুর মোড়ে সাহেদের কফিশপে চা এবং কপি বিক্রি করার অপরাধে দোকান মালিকের নিকট থেকে ২ হাজার টাকা করে মোট ৪ হাজার টাকা এবং একই সাথে চাঁদবিল মোড়ে দুটি চায়ের দোকানে এক হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এ সময় অন্যদের মধ্যে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইয়ানুর রহমান, মেহেরপুর সদর থানার ওসি শাহ দারা খান, এসআই সামদানী রসুল প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে শনিবার দুপুরের দিকে চলমান লকডাউনে মাস্ক বিহীন বাইরে ঘোরাফেরা করার দায়ে ৭ জনকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের নিকট থেকে ৭ হাজার একশ’ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। সদর উপজেলা নির্বাহি অফিসার ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদুল আলমের নেতৃত্বে শহরের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আশপাশের এলাকা থেকে ঐ ৭ ব্যক্তিকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলো মেহেরপুর শহরের ঈদগাহ পাড়ার নজরুল ইসলামের ছেলে এখলাছুর রহমান (৩০), মল্লিকপাড়ার নারায়ন কুমার দাসের ছেলে বিল্পব কুমার দাস (৪০), চক্রপাড়ার আখতারুজ্জামানের ছেলে বাপ্পি (২০) ও ক্যাশবপাড়ার বাবর আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম (৩৭) এবং মুজিবনগর উপজেলার সোনাপুর গ্রামের আফাজ উদ্দীনের ছেলে সেলিম উদ্দিন (৩২) ও বিদ্যাধরপুর গ্রামের আব্দুর রহমানে ছেলে আজহারুল ইসলাম (৪৭।
এ সময় সহকারী কমিশনার ভূমি ইয়ানুর রহমান, সহকারী কমিশনার কাজী মোহাম্মদ অনিক ইসলাম, মসদর উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা ইসরাফিল হোসেন সহ বিজিবি, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে গতকাল শনিবার রাতে মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত চলাকালে মেহেরপুর সদর উপজেলার চাঁদবিলে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আখের আলীর চায়ের দোকান খোলা রাখা ছিল। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালত সেখানে অভিযান পরিচালনা করেন এবং আখের আলীর সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে তার নিকট থেকে প্রতীকী হিসাবে ৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। পরে তাকে ১৫ দিনের খাবার উপহার দেয়া হয়। সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইয়ানুর রহমান ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন।
মুজিবনগর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, সাত দিনের কঠোর লকডাউন মুজিবনগরে সর্বাত্মক পালিত হচ্ছে। কঠোর লকডাউনের ৩য় দিনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুজিবনগর সুজন সরকার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুল আলমের নেতৃত্বে এবং বিজিবি, পুলিশ ও আনসার ব্যাটেলিয়ন এর সহযোগিতায় দিনব্যাপী পরিচালিত মোবাইল কোর্টে ৭টি মামলায় ৭জন ব্যক্তিকে ৫ হাজার ২০০টাকা জরিমানা করা হয়। গতকাল শনিবার মুজিবনগর উপজেলার আনন্দবাস বাজার, ভবেরপাড়া বাজার, কেদারগঞ্জ বাজার, সোনাপুর বাজার, বাগোয়ান বাজার, মোনাখালী বাজার, দারিয়াপুর বাজার, কোমরপুর বাজার ও মহাজনপুর বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এসময় জরিমানাসহ পথচারীদের দাঁড় করিয়ে বাইরে আসার কারণ জানতে চান এবং পরবর্তীতে বাইরে না আসার আহ্বান জানান