স্টাাফ রিপোর্টার : চুয়াডাঙ্গায় সরকারি মুরগী প্রজনন ও উন্নয়ন খামারে ফাউমী জাতের ১ দিনের মুরগীর বাচ্চা উৎপাদন করে খামারীদের জন্য নতুন দিগন্ত সূচনা হতে যাচ্ছে। আগামি ৩ জুলাই শনিবার এ খামারে ১ হাজার ২০০ ডিম থেকে বাচ্চা উৎপাদন করে ১২ টাকা দরে বিক্রি করার উদ্যোগ গ্রহন করেছে সরকার। দীর্ঘদিন ধরে এ খামারে মুরগী ও ডিম বিক্রি করলেও এবারই প্রথমবারের মতো ১দিনের বাচ্চা বিক্রি করা উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। এ খামারে চলতি বছরে ১ হাজার লেয়ার মুরগী পালন এবং ৮০ হাজার বাচ্চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৬ সালে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ১নং ওয়ার্ডের পুলিশ লাইনের পাশে ৩ দশমিক ৩৩ একর জমির ওপর সরকারি হাঁস-মুরগীর খামার প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রাণিসম্পদের উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং মূল্য সংযোজনের মাধ্যমে প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণের জন্য প্রাণিসম্পদ বিভাগ খামারটি প্রতিষ্ঠা করে। গ্রামীণ পর্যায়ে খামার স্থাপনের জন্য জনগণকে উদ্ধুদ্ধ করা , ক্ষুদ্র খামারি ও জনগণের মাঝে বাড়ন্ত বাচ্চা বিতরণ করা, বেকার যুবক-যুবতীদের পোল্ট্রি পালনের মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরী করে বেকারত্ম দূরীকরণ এবং খামারিদের পোল্ট্রি পালন ও জীব নিরাপত্তা বিষয়ে প্রয়োজনীয় কারিগরি পরামর্শ প্রদান করায় একমাত্র লক্ষ্য। অতিসম্প্রতি সরকারি হাঁস-মুরগী খামারের নামটি পরিবর্তন করে ‘সরকারি মুরগী প্রজনন ও উন্নয়ন খামার’ করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সরকারি মুরগী প্রজনন ও উন্নয়ন খামারে শুরু থেকে বিভিন্ন বয়সী মোরগ/ মুরগীর বাচ্চা বিক্রি করা হয়ে থাকে। বর্তমানে খামারে ১ দিন বয়সের বাচ্চা প্রতিটি ১২ টাকা, ২-২৮ দিন বয়সের মোরগ/মুরগীর বাচ্চা প্রতিটি ৩৫ টাকা, ২৯-৪২ দিন বয়সের মোরগ/মুরগীর বাচ্চা প্রতিটি ৬০ টাকা, ৪৩-৭০ দিন বয়সের মোরগ/মুরগীর বাচ্চা প্রতিটি ৭৫ টাকা, ৭১-৯০ দিন বয়সের মোরগ/মুরগীর বাচ্চা প্রতিটি ৯০ টাকা এবং বাতিল/কালিং মোরগ/মুরগীর বাচ্চা প্রতি কেজি ১২০টাকা দরে বিক্রি করা হয়ে থাকে।
চুয়াডাঙ্গা সরকারি মুরগী প্রজনন ও উন্নয়ন খামারের ম্যানেজার মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বর্তমানে ২৯৪টি ফাউমী জাতের মুরগী আছে। খামারে ৩টি ডিমপাড়া মুরগীর শেড আছে। মুরগীর বাচ্চা রাখার জন্য আরো ২টি শেড নির্মাণ জরুরি। খামারে যখন যে বয়সী মোরগ/মুরগী থাকে তা সরকারি মূল্যে বিক্রি করা হয়। তিনি আরো জানান, গত ডিসেম্বর মাসে প্রতিটি ৪ হাজার ২০০ বাচ্চা উৎপাদনে সক্ষম চারটি অত্যাধুনিক মেশিন স্থাপন করা হয়েছে । যা দিয়ে ১৬ হাজার ৮০০ বাচ্চা উৎপাদন করা সম্ভব। কিন্ত, বিদ্যুতের লো-ভোল্টেজের কারণে মেশিন চালানোয় দুস্কর হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ ও জেনারেটর দিয়ে প্রথমবারের মতো ১ হাজার ২০০ ডিমের বাচ্চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এখান থেকে শতকরা ৮০ ভাগ বাচ্চা উৎপাদন করতে সক্ষম হবো। আগামী ৩ জুলাই ১দিনের বাচ্চা খামারিদের কাছে প্রতিটি ১২ টাকা মূল্যে বিক্রি করা হবে । এরফলে জনগণের মাঝে পুষ্টির চাহিদা অনেকটা পূরণ হবে। এ খামারে চলতি বছরে ১ হাজার লেয়ার মুরগী পালন এবং ৮০ হাজার বাচ্চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আমি নিবো যোগাযোগ নাম্বার দিন