স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার কুলচারা গ্রামে তেতুল খাওয়ার লোভ দেখিয়ে সাত বছরের এক শিশু কন্যাকে ঘরের মধ্যে আটকে ধর্ষণের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছে মোহাম্মদ আলী নামে এক যুবক। বিষয়টি জানাজানি হলে ওই যুবককে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসি। পরে পুলিশ মোহাম্মদ আলীকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থানায় নেয়।
সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুলচারা গ্রামের স্কুলপাড়ায় এঘটনা ঘটে। বিকেলে শিশুটি পিতা বাদি হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মোহাম্মদ আলী (২০) কুলচারা গ্রামের স্কুলপাড়ার ফজলুর ছেলে। সে পেশায় একজন দিনমজুর। শিশুটি স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী।
পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা জানায়, সোমবার দুপুরে মোহাম্মদ আলী তার বাড়িতে ওই শিশুকে তেতুল খাওয়ার লোভ দেখিয়ে ডেকে নিয়ে আসে। পরে ঘরের দরজা বন্ধ করে শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এসময় শিশুটি চিৎকার ও কান্নাকাটি করতে থাকে। পরে আশেপাশের লোকজন শিশুটি চিৎকার শুনে এগিয়ে আসলে অভিযুক্ত মোহাম্মদ আলী পালিয়ে যায়। পরে বিকেলে এলাকাবাসি মোহাম্মদ আলীকে আটক করে গণধোলায় দেয়। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহত মোহাম্মদ আলীকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থানা হেফাজতে নেই। এদিকে ঘটনার পর বিকেলে শিশুটি বাদি হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। পরে পুলিশ এই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখায়। মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) শিশুটির ডাক্তারি পরিক্ষার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন, সোমবার বিকেলে শিশুর পিতা বাদি হয়ে সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। আমরা আসামীকে গ্রেফতার করেছি। মঙ্গলবার ডাক্তারি পরিক্ষার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে।