স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় পৃথক অভিযান চালিয়ে নেশাজাতীয় ইনজেকশনসহ চারজনকে আটকের পর তিনজনকে কারাদ- দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। অপরজনকে নিয়মিত মামলাসহ সংশ্লিষ্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার নূরনগরে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। এ সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ২৯ অ্যাম্পুল নিষিদ্ধ ভারতীয় বুপ্রেনরফাইন ইনজেকশন। ভ্রাম্যমাণ আদালত তিনটি পরিচালনা করেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম ভূইয়া। সাজাপ্রাপ্ত তিনজন হলেন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নবীননগর গ্রামের পশ্চিমপাড়ার মৃত খোদাবক্সের ছেলে জাকির হোসেন (৫০), একই গ্রামের পূর্বপাড়ার মৃত তারিক উদ্দিনের ছেলে শামসুল হক (৪৫), চুয়াডাঙ্গা মাস্টারপাড়ার আবুল হোসেনের ছেলে রফিকুন নবী (৩৮)। আটককৃত অপরজন চুয়াডাঙ্গা নূরনগরের মৃত সুলতান সেখের ছেলে এরেঙ্গ বাদশা (৩৯)। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম ভূইয়ার নেতৃত্বে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর গতকাল বুধবার বিকেল ৪টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত পৌর এলাকার নবীনগরে মাদকবিরোধী অভিযান চালান। এ সময় তিন মাদকসেবি জকির হোসেন, রফিকুন নবী ও শামসুল হককে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ৫ অ্যাম্পুল বুপ্রেনরফাইন ইনজেকশন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তিনজনকেই তিন মাস করে কারাদ- ও পাঁচশ টাকা করে জরিমানা করা হয়। গতকালই সাজাপ্রাপ্ত তিনজনকে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। এদিকে সন্ধ্যা ৬টার দিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক শরীয়ত উল্লাহ ও পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন সঙ্গীয় ফোর্সসহ চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার নূরনগরে অভিযান চালান। এ সময় নূরনগর কবরস্তানের পাশ থেকে আটক করা হয় একই এলাকার মাদককারবারি এরেঙ্গ বাদশাকে। তার দেহতল্লাশি করে উদ্ধার করা হয় ২৪ অ্যাম্পুল বুপ্রেনরফাইন ইনজেকশন। পরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলাসহ তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় সোপর্দ করা হয়।