স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় বেড়েই চলেছে করোনা ভাইরাসের বিস্তার। কোনোভাবেই প্রতিরোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা সব চেয়ে বেশি। নতুন করে ৩০ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সাধারণ মানুষের সচেতনতার অভাবে করোনা প্রতিরোধ অসম্ভব হয়ে পড়ছে। মানুষ সামাজিক দূরত্ব ও মাস্ক ব্যবহারে উদাসিন। করোনা পরীক্ষার নমুনা দিয়ে নিজ বাড়িতে না থেকে স্বাভাবিকভাবে চলাচল করছেন। করোনা আক্রান্ত রোগীর পরিবারের সদস্যরা যেকোনো প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে আসছেন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট ৭৮৯ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। আর সুস্থ হয়েছে ৩৮৫ জন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাব থেকে চুয়াডাঙ্গার নতুন রিপোর্ট আসে ৮০টি।
সিভিল সার্জন অফিসসূত্রে জানা যায়, ল্যাবে নমুনা জট কাটিয়ে এখন থেকে নিয়মিত রিপোর্ট আসছে চুয়াডাঙ্গায়। কয়েক দিন রিপোর্ট না আসায় মানুষ স্বাভাবিকভাবে চলাচল করেছেন। যার ফলে পরিবার, প্রতিবেশী ও বাইরের লোকজনের মাঝে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কয়েক গুণ বেড়েছে। সামাজিকভাবে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ছে। সামাজিকভাবে ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধ সম্ভব না হলে পরিস্থিতি অবনতি হবে।
চুয়াডাঙ্গায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ জন। সদর উপজেলায় ২০ জন, দামুড়হুদা উপজেলায় ৩ জন, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ৪ জন ও জীবননগর উপজেলায় ৩ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাব থেকে নতুন ৮০টি রিপোর্ট আসে চুয়াডাঙ্গার। করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা প্রেরণ করা হয়েছে ৭৭টি। সুস্থ হয়েছে নতুন করে ১২ জন।
গতকাল বৃহস্পতিবার ৭৭ জনের নমুনা প্রেরণ করা হয়েছে। ৮০ জনের ফলাফল আসে। তার মধ্যে ৩০টি পজেটিভ হয়েছে। যাদের মধ্যে চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার ২০ জন, আলমডাঙ্গা উপজেলার ৪জন, জীবননগর উপজেলায় ৩ জন ও দামুড়হুদা উপজেলার ৩ জন রয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে সদর উপজেলায় সরোজগঞ্জ বাজারের একজন, সাদেক আলী মল্লিকপাড়ার একজন, শান্তিপাড়ার একজন, শংকরচন্দ্র গ্রামের একজন, ঝিনাইদহ বাস স্ট্যান্ডপাড়ার একজন, দৌলাতদিয়াড় ৩ জন, ফার্মপাড়ার একজন, বড়বাজারপাড়ার একজন, আরামপাড়ার দুজন, সাতগাড়ি গ্রামের ৩ জন, রাজাপুর গ্রামের একজন, মহিলা কলেজপাড়ার একজন ও গাইদঘাটের ৩ জন রয়েছেন। আলমডাঙ্গার পুরাতন পাঁচলিয়া গ্রামের একজন, হাটবোয়ালিয়ার একজন, কোর্টপাড়ার একজন, হারদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও একজন, জীবননগর উপজেলার আঁশতলাপাড়ার একজন, জীবননগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও একজন, গোকুল নগর গ্রামের একজন, দামুড়হুদা উপজেলার কানাইডাঙ্গা গ্রামের দুজন ও চিৎলা কমপ্লেক্সেও একজন রয়েছেন। পুরুষ ১৭ জন ও নারী সদস্য ১৩ জন। বয়স ১৯ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে। যাদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৩৮৫জন। এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন ১৩ জন।