স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় আরও একজন করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে। ১৮ বছর বয়সী সাব্বির গতরাতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের হলুদ জোনে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে প্রেরণ করা হয়েছে। বুধবার রাতে জানা যেতে পারে সে কোভিড-১৯ পজিটিভ ছিলো কিনা। অপরদিকে চুয়াডাঙ্গায় আরও ৬ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগের হাতে বুধবার ২৮ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসে। এর মধ্যে ৬ জন কোভিড-১৯ পজিটিভ। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮শ ৬৭ জন। এদিন আরও ৩ জন সুস্থ হয়েছেন। ফলে মোট সুস্থ হলেন ১ হাজার ৬শ ৬৩ জন। যে ৬ জন বুধবার শনাক্ত হয়েছে তার মধ্যে ৪ জন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার, দুজন আলমডাঙ্গা উপজেলার। চুয়াডাঙ্গা জেলায় বর্তমানে মোট সক্রিয় রোগী ১১৫ জন। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ৭৩ জন। এর মধ্যে ৬৫ জন বাড়িতে, ৪ জন হাসপাতালে ও ৪ জন ঢাকায় চিকিৎসাধীন। আলমডাঙ্গা উপজেলায় বর্তমানে সক্রিয় রোগী ৯ জন। সকলেই বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছেন। দামুড়হুদা উপজেলার বর্তমান সক্রিয় ১৯ জন রোগীর মধ্যে ১৮ জন বাড়িতে একজন হাসপাতালে রয়েছেন। জীবননগর উপজেলার ১৪ জন রোগীর মধ্যে ১২ জন বাড়িতে, ১জন হাসপাতালে একজন রেফার্ড রয়েছে। জেলায় করোনায় স্বাস্থ্য বিভাগের হিসেবে মৃতের সংখ্যা ৫৪ জন। বেসরকারি হিসেবে আরও ৩ জন বেশি।
এদিকে গত মঙ্গলবার রাতে মারা যাওয়া সাব্বিরের মৃতদেহ স্বাস্থ্য বিধি মেনে তার নিজ গ্রাম চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের সরিষাডাঙ্গায় দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। সে শামসুল হকের ছেলে। দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুসজনিত সমস্যায় ভুগছিলো সাব্বির। কয়েকদিন ধরে তার শ^াসকষ্ট বেড়ে যায়। তাকে ২০ এপ্রিল সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের হলুদ জোনে ভর্তি করা হয়। রাতে সে মারা যায়। তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।