স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় করোনা পরিস্থিতি দিন দিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। বৃহস্পতিবার আরও ১৪জনের করোন শনাক্ত হয়েছে। জেলা শহরে এক সপ্তাহের মধ্যে প্রায় অর্ধশত ব্যক্তির শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদকের মৃত্যুর পর হোম আইসোলেশনে থাকা অনেকেই হাসপাতালমুখি হচ্ছেন। বৃহস্পতিবার রাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে ছিলেন ১৭ জন। বাড়ি চিকিৎসাধীন ১১৫ জন। বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নেয়া অনেকেই জনসাধারণের মাঝে ঘুরে নিজের কাজ করছেন বলে অভিযোগ উঠছে। ফলে আক্রান্তদের বাড়ি লকডাউনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন স্থানীয় সচেতন মহলের অনেকে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের হাতে বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) রাতে ৩৮টি রিপোর্ট আসে। এর মধ্যে ১৪ জন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত তথা কোভিড-১৯ রোগে ভুগছেন। এ দিয়ে চুয়াডাঙ্গায় মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩শ ৫জন। বৃহস্পতিবার র্আও ৭জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। ফলে আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থতা পেলেন মোট ২শ ১২ জন। নতুন ১৪জন করোনা রোগীর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদরের ৮জন। চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকারই ৭জন। একজন দৌলাতদিয়াড়ের। দামুড়হুদা উপজেলার একজন। তিনি দর্শনা ইসলাম বাজারের বাসিন্দা। বাকি ৫জন আলমডাঙ্গা উপজেলার। আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার কলনীর দুজন, এরশাদপুরের একজন, বগাদীর একজন ও আসমানখালীর একজন।
বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গায় করোনা উপসর্গে ভুগছেন এমন আরও ৩০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য কুষ্টিয়া পরীক্ষাগারে প্রেরণ করেছে। সূত্র বলেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আসাদুল হক লেমন ঢাকার উদ্দেশে নেয়া হয়েছে। তিনি করোনা উপসর্গে ভুগছিলেন। বৃহস্পতিবারই তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। এছাড়া ইটভাটা মালিক সমিতির এক নেতাসহ তার পরিবারের কয়েকজন করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বুধবার রাতে চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের গুলশানপাড়ার বাসিন্দা জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ফেরদৌসওয়ারা সুন্না মারা যান। বৃহস্পতিবার তার দাফন সম্পন্ন হয়। অনেকেই নামাজে জানাজায় শরীক হন। তার মৃত্যুর বিষয়টি যেমন ছিলো চুয়াডাঙ্গায় প্রধান আলচ্য বিষয়, তেমনই পৌর এলাকায় ব্যাপকহারে করোনা ছড়ানোর ফলে এলাকাভিত্তিক রেডজোন ঘোষণা করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন অনেকে।
প্রসঙ্গত, করোনায় এ পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গায় মারা গেছেন ৪ জন। করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরও ৩ জন। এদের মধ্যে দুজনের রিপোর্ট পজিটিভ এল্ওে একজনের রিপোর্ট আসতে বাকি।