স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আরও এক নারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তার বাড়ি পৌর এলাকার বুজরুকগড়গড়ি বনানীপাড়ায়। গতকালই তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে নেয়া হয়েছে। এছাড়া হাজরাহাটি এলাকার আক্রান্ত আরও এক যুবককে গতকাল আইসোলেশনে নেয়া হয়। বর্তমানে সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে তিনজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. এএসএম মারুফ হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গত ২৯ এপ্রিল ২৮টি নমুনা যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে পাঠানো হয়। সকালে তার ফলাফল আসে চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগে। এরমধ্যে একজন করোনা শনাক্ত হয়েছেন। বাকীদের শরীরে করোনার অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এ পর্যন্ত যতগুলো নমুনা সংগ্রহ করেছে তার মধ্যে মোট শনাক্ত হয়েছেন ১০ জন। তবে চুয়াডাঙ্গার মোট ১২ জন করোনায় আক্রান্ত। তাদের নমুনা ঢাকা কিডনি হাসপাতাল ও যশোর জেনারেল হাসপাতাল থেকে সংগ্রহ করা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে পুলিশ করোনায় আক্রান্ত বুজরুকগড়গড়ি বনানীপাড়ার ওই গৃহবধূর বাড়িতে লাল পতাকা টাঙিয়ে দেয়। ওই গৃহবধূ গত ১০ এপ্রিল তার শিশুকণ্যাকে নিয়ে পিতারবাড়ি আলমডাঙ্গার খাদিমপুরে যান। ৩/৪ দিন পর বাড়ি ফিরলে তার ঠা-া, জ্বর, কাশি শুরু হয়। প্রায় ১০দিন অসুস্থ্য থাকার পর তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। ওই গৃহবধূর নমুনা সংগ্রহ করে গত ২৯ এপ্রিল যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে পাঠানো হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শামীম কবির জানিয়েছেন, বুজরুকগড়গড়ি বনানীপাড়ার ওই গৃহবধূকে হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে নেয়া হয়েছে। তার স্বামী ও সন্তানের নমুনা সংগ্রহ করে তাদেরকে বাড়িতে থাকার জন্য বলা হয়েছে।
এদিকে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুরের এক ব্যক্তির নমুনা ঢাকা কিডনি হাসপাতাল থেকে সংগ্রহ করা হয়। পরে তিনি করোনায় আক্রান্ত বলে আইইডিসিআর থেকে জানানো হয়। ওই নারীকে বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এছাড়া, জীবননগরের এক নারীর নমুনা যশোর জেনারেল হাসপাতাল থেকে সংগ্রহ করে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে পাঠানো হয়। তিনিও করোনা শনাক্ত হয়েছেন বলে জানানো হয়।
অর্থাৎ, জেলায় এ পর্যন্ত মোট ১২ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেন। আর সুস্থ্ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন একজন। গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে ছিলেন ৩ জন, হোম আইসোলেশনে ৬ জন, ১০ জন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে ও হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন ২৮৬ জন। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ১ হাজার ৪৬৩ জন।
উল্লেখ্য, গত ১৯ মার্চ চুয়াডাঙ্গায় প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয় ইতালি ফেরত এক যুবক। তার বাড়ি আলমডাঙ্গায়। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছে ওই যুবক।