আলমডাঙ্গা নাগদহের মৃত আব্দুল গনীর নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট- কোভিড-১৯ পজিটিভ
স্টাফ রিপোর্টার: করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে চুয়াডাঙ্গার আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের হিসেবে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৫ জন। তবে বেসরকারি হিসেবে ৫৮ জন। এছাড়াও করোনা উপসর্গ নিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের হলুদ জোনে চিকিৎসাধীন আরও একজন মারা গেছেন গতরাত ৯টার দিকে। অপরদিকে চুয়াডাঙ্গাসহ সারা দেশেই করোনা ভাইরাস সংক্রমন ও মৃত্যুর হার কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। তবে হ্রাস পেলেও স্বাস্থ্য বিধি মেনে না চললে পরিস্থিতি বেশামার হওয়ার আশঙ্কা স্পষ্ট।
চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের মসজিদপাড়ার মৃত ওসমান ম-লের ছেলে আলতাফ হোসেন (৮৬) কয়েকদিন ধরে সর্দি কাশি জ¦রে ভুগছিলেন। মঙ্গলবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। গতরাত ৯টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তিনি করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া গত সোমবার ভোররাতে মৃত্যুবরণকারী আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদহ গ্রামের আব্দুল গনী করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী ছিলেন। তিনিও করোনা উপসর্গ নিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের হলুদ জোনে ভর্তি হন। তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পিসিআর ল্যাবে প্রেরণ করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার তার পরীক্ষার রিপোর্ট চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগের হাতে আসে। তিনি কোভিড-১৯ পজিটিভ ছিলেন। এ নিয়ে জেলায় স্বাস্থ্য বিভাগের হিসেবে করোনায় মৃত্যু হলো ৫৫ জনের।
চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগসূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার ১৫ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া যায়। ১৪ জনের নেগেটিভ হলেও একজনের পজিটিভ। তিনিই আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদহ গ্রামের আব্দুল গনী। যার মৃত্যু হয়েছে পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার আগে। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮শ ৫৭ জন। মঙ্গলবার আরও ১১ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট সুস্থ হলেন ১ হাজার ৭শ ৯ জন। দেশেও সুস্থতার হার বেড়েছে। সংক্রমণের হার অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে। দেশে সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গরবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ হাজার ২শ ৩৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৩ হাজার ৩১ জনের করোনা পজিটিভ হয়েছে। এ সময়ে মারা গেছেন ৭৮ জন। এ নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা ১১ হাজার ২শ ২৮ জন।
চুয়াডাঙ্গায় বর্তমানে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৪ জন। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ৬০ জন, আলমডাঙ্গা উপজেলার ৯ জন, দামুড়হুদা উপজেলার ১৪ জন, জীবননগর উপজেলার ১১ জন। সদর উপজেলার ৬০ জনের মধ্যে ৫০ জন বাড়িতে, ৬ জন হাসপাতালে ও ৪ জন রেফার রয়েছে। আলমডাঙ্গা উপজেলার ৯ জনের মধ্যে একজন হাসপাতালে বাকি ৮ জন বাড়িতে রয়েছেন। দামুড়হুদা উপজেলার ১৪ জনের মধ্যে ১৩ জন বাড়িতে একজন হাসপাতালে। জীবননগর উপজেলার ১১ জনের মধ্যে ১০ জন বাড়িতে একজন রেফার রয়েছেন। মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগ নতুন ১৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে প্রেরণ করেছে।