স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বড় শলুয়া গ্রামের আরিফ হোসেন (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। রক্তাক্ত অবস্থায় আরিফকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেছেন। গতকাল রোববার রাত ১১টার দিকে বড় শলুয়া গ্রামের বটতলা নামকস্থানে এ ঘটনা ঘটে। আহত আরিফ হোসেন সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের বড় শলুয়া গ্রামের আব্দুল ওহাবের ছেলে। আহত আরিফের চাচাতো ভাই ওমর আলী দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন, পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় মনির ছেলে হাসানের সঙ্গে আরিফের বাগবিত-া হয়। একপর্যায়ে হাসান ধারাল অস্ত্র দিয়ে আরিফকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করি। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসক রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেছেন। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. নাজমুস সাকিব দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন, আরিফের মাথায় গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। তার নাক ও মুখ দিয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। তিনি শঙ্কামুক্ত নয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। দর্শনা থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) মুহম্মদ শহীদ তিতুমীর দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, শুনেছি একজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহীতে নেয়া হচ্ছে। এটা রাজনৈতিক ইস্যু না, ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বে এই মারামারির ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।