স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার গহেরপুরে পাকশির বিল খননকে কেন্দ্র করে চাঁদা চেয়ে স্কেভেটরে ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে চিরকুট। চাঁদা চেয়ে চিরকুট লেখার বিষয়টি গড়াইটুপি এলাকায় ওপেন সিক্রেট হলেও ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। এদিকে ২নং ওয়ার্ড সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য মৌসুমী বেগমের স্বামী এলাকার আলোচিত ব্যক্তি বদর উদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বদর উদ্দিন গ্রেফতারের পর থেকে অনেকেই দিয়েছে গা ঢাকা।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপেজলার গড়াইটুপি ইউনিয়নের গহেরপুর ও বাটিকাডাঙ্গা মৌজায় অবস্থিত পাকশির বিল খননকে কেন্দ্র করে ১ লাখ টাকা চাঁদা চেয়ে স্কেভেটরে চিরকুট ঝুলিয়ে দিয়েছে কে বা কারা। চাঁদা চাওয়ার বিষয়টি গড়াইটুপি ইউনিয়ন এলাকায় ওপেন সিক্রেট হলেই ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। তবে পুলিশ বিষয়টি গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখছে। এদিকে দর্শনা থানার অফিসার্স ইনচার্জ ওসি মাহাব্বুর রহমান কাজলের নির্দেশে তিতুদহ ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ এসআই শেখ রকিবুল ইসলাম অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে গহেরপুর গ্রামের সামসুদ্দিনের ছেলে ২নং ওয়ার্ড মহিলা ইউপি সদস্য মৌসুমি বেগমের স্বামী বহুল আলোচিত বদর উদ্দিনকে (৪৮) গ্রেফতার করেছে। বদর উদ্দিনের আগেও কয়েকবার বিভিন্ন কারণে গ্রেফতার হয়ে জেলও খেটেছে। ২০০৬ সালে তার নামে একটি চাঁদাবাজি মামলাও আছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। গ্রেফতারকৃত বদর উদ্দিনকে গতকাল শুক্রবার দুপুরের দিকে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। পুলিশ আরও জানায়, কারা চাঁদা চেয়ে চিরকুট লিখেছে সে বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে আর নেপথ্যেই বা কারা আছে তাদেরকেও শনাক্ত করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, ১ কোটি টাকা ব্যায়ে গহেরপুর পাকশির বিল পুনঃখননের কাজ চলছে। চুয়াডাঙ্গা জেলা মৎস্য অধিদফতরের মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন হচ্ছে। বিল খনন, মাটি বিক্রি, স্কেভেটর দেয়া নিয়ে শুরুতেই নানান কথা চাওয়র আছে। বিল খননের ফলে কি উপকার হবে তার বর্তমান, অতীত ও ভব্যিষৎ আশঙ্কা নিয়ে এরই মধ্যে এলাকাবাসী গণস্বাক্ষর করে বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগও করেছে। যা প্রশাসনসহ এলাকাবাসী অবগত হয়েছে। একটি সূত্র জানিয়েছে গহেরপুর গ্রামে মৎসজীবী সমিতি ও কামরি-পাকশি বিল পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমীতি লিমিটেডের নামে দুটি প্রতিষ্ঠান আছে। মৎস্য অধিদতফর পুনঃখননের কাজ দুটি সমিতির মাধ্যমে বাস্তবায়ন করলে হয়তো এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না। ওসি মাহাব্বুরর রহমান বলেন, দর্শনা থানার অধীনে কোনো মাস্তানি, চাঁদাবাজির ঠাঁই নেই। মানুষ নির্ভয়ে পথ চলবে এবং তাদের জানমাল হেফাজত করাই পুলিশের কাজ। তাই সুন্দর পরিবেশ বজায় রাখতে চাই এলাকাবাসীর সহযোগিতা।