চুয়াডাঙ্গায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের বিদায় অনুষ্ঠানে এমপি ছেলুন
স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শতাধিক অবসরপ্রাপ্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরকে বিদায় সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির আয়োজনে চুয়াডাঙ্গার ফার্স্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটি চত্বরে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত এবং গীতা পাঠের মধ্য দিয়ে শুভ সূচনা হয়। অনুষ্ঠানে শিক্ষকদের হাতে স্মারক ও উপহার সামগ্রী তুলে দেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন। বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি, চুয়াডাঙ্গা সদর শাখার সভাপতি ইকলাস হোসেন (মন্টুর) সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফার্স্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ চুয়াডাঙ্গা, উপাচার্য ড. এম মোফাজ্জেল হোসেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. তবিবুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার লায়লা তাসলিমা নাসরিন, ফার্স্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ চুয়াডাঙ্গার পরিচালক (অর্থ) ড. আজিজুর রহমান। এর আগে শিক্ষকদের মধ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন শিক্ষক মজিবর রহমান, কাবেরী করিম, লিটন আলী জোয়ার্দ্দার এবং শিক্ষিকা ফাতেমা খাতুন। মানপত্র পাঠ করেন শিক্ষিকা পারভীন আক্তার। অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শিক্ষক মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক ও শিক্ষিকা মাসুদা ইসলাম। বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি, চুয়াডাঙ্গা সদর শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। প্রধান অতিথি সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা হলেন মানুষ গড়ার কারিগর। ছোট ছোট কোমলমতি শিশুদের আপনাদের হাত দিয়ে তাদের শিক্ষা জীবনের সূচনা হয়। যার কারণে আগে সেই ভিতটা মজবুত করতে হবে। আপনাদের বিশাল জ্ঞান ভান্ডারের ছোঁয়া পেয়ে আজ অনেক ছাত্র-ছাত্রী জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। শিক্ষকরা জীবনে অক্লান্ত পরিশ্রম করে দেশ, জাতি, সমাজকে আলোকিত করে চলেছেন। যারা অবসরে চলে গেছেন আপনাদের জ্ঞানের মহিমায় যারা উদ্ভাসিত হয়েছে তাদের জীবন আজ ধন্য। আপনারা মাঝেমধ্যে বিদ্যালয়ে যাবেন। আপনাদের পদচারণায় ধন্য হবে বিদ্যালয়। নবাগত শিক্ষকদের পরামর্শ দিবেন, কোমলমতি শিশুদের পড়াশোনার খোঁজখবর নিবেন। আপনাদের সামনের দিনগুলো আরও সুন্দর কাটুক।