কুষ্টিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় চিকিৎসাধীন আরও ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১০ জন করোনায় ও পাঁচজন উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবদুল মোমেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৫১১টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৪১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৭ দশমিক ৫৯ শতাংশ। এদের মধ্যে কুষ্টিয়া সদরের ২৩, কুমারখালীর ৩৩, দৌলতপুরের ২৭, ভেড়ামারার ২১, মিরপুরের ২৬ এবং খোকসায় উপজেলায় ১১ জন রয়েছেন। কুষ্টিয়া জেনারেল সপাতালটিতে বর্তমানে আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে ২২০ রোগী চিকিৎসাধীন। এই জেলায় এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে ৬৩০ জন মারা গেছেন। মোট আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ৯৪৯ জন। সুস্থ হয়েছেন ১২ হাজার ৩০৮ জন। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আব্দুল মোমেন বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলার কারণে মানুষ আগের চেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। করোনার নতুন স্ট্রেইন ছড়িয়ে পড়ায় একজনের দ্বারা অনেক লোক আক্রান্ত হতে পারেন। এ জন্য স্বাস্থ্যবিধি মানাতে প্রশাসককে আরও কঠোর হতে হবে। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এএসএম মুসা কবিরের বলেন, গ্রামে গ্রামে প্রশাসনের নজরদারি ও তদারকি আরও বাড়াতে হবে। উপসর্গ নিয়ে কেউ যেন বাড়িতে বসে না থাকেন। তাদের প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসাব্যবস্থা নিশ্চিত করা ছাড়া মৃত্যুহার কমানো সম্ভব নয়। চিকিৎসা নিতে যত দেরি হবে, মৃত্যুর ঝুঁকি তত বাড়বে।