স্টাফ রিপোর্টার: করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে খুলনা জিলা স্কুলের শিক্ষক মো. জান্নাতুল ফেরদৌসসহ (৪০) মারা গেছেন। খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের করোনা সাসপেকটেড আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। জান্নাতুল ফেরদৌস চুয়াডাঙ্গা ভিজে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়েও শিক্ষকতা করেছেন। তার স্ত্রীসহ পরিবারের আরও তিনজন একই উপসর্গ নিয়ে অসুস্থ অবস্থায় রয়েছেন। এছাড়াও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আজ বৃহস্পতিবার আরও দুজন করোনা উপসর্গ নিয়েমারা গেছেন। এরা হলেন- খুলনা মহানগরীর বাগরামা এলাকার সোহরাব শেখের ছেলে হারুন শেখ (৫৫) ও রায়েরমহলের আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে বাবু (৪৫)।
খুমেক হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ও করোনা ওয়ার্ডের মুখপাত্র ডা. মিজানুর রহমান জানান, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে খুলনা জিলা স্কুলের শিক্ষক মো. জান্নাতুল ফেরদৌস (৪০) বুধবার রাত ১১টার দিকে হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১টার দিকে তার মৃত্যু হয়। তার বাড়ি নগরীর বয়রা পালপাড়া এলাকায়। তিনি চুয়াডাঙ্গায় প্রায় ১০ বছর শিক্ষকতা করেছেন। প্রাইভেট টিউশনিও করতেন তিনি। ভিজে স্কুলসূত্রে জানা গেছে, সহকারী শিক্ষক হিসেবে জান্নাতুল ফেরদৌস ২০০৫ সালের প্রথম দিকে ভিজে উচ্চ বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। ২০১৫ সালের শেষের দিকে বদলির আদেশ নিয়ে খুলনা জিলা স্কুলে যোগদেন।
অপরদিকে, বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে হারুন শেখ হাসপাতালে ভর্তি হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সোয়া ১টার দিকে তার মৃত্যু হয়। এছাড়া গত মঙ্গলবার রাত সোয়া ৮টার দিকে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে বাবু খুমেক হাসপাতালের করোনা সাসপেকটেড আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হন। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়। করোনা পরীক্ষার জন্য তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানান ডা. মিজানুর রহমান।