আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে মোটরসাইকেল চোরচক্রের ৬ জনকে আটক করেছে। পরে তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী আসামিদের নিজ বাড়ি থেকে ৯টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। গতকাল রোববার সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলা ও কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। সোমবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন তার নিজ কার্যালয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে বিভিন্ন সময় মোটরসাইকেল, ইজিবাইকসহ বিভিন্ন যানবাহন চুরি হয়ে থাকে। এসব চুরির সাথে জড়িত একটি সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট। তারা চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ পাশ্ববর্তী কয়েকটি জেলায় সিন্ডিকেট গড়ে তুলে এ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিলো। তিনি আরও জানান, আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামানের নেতৃত্বে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) একরামুল হোসাইন, এসআই শেখ হাদীউজ্জামান, এসআই লিটন কুমার ম-ল, এএসআই মোস্তফা কামাল, এএসআই রাসেল তালুকদার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে রোববার রাতে আলমডাঙ্গা থানার বিভিন্ন স্থানে বিশেষ অভিযান চালায়। এসময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আলমডাঙ্গা শহরের শাদা ব্রিজের পাশে পশুহাট এলাকা থেকে ৩টি চোরাই মোটরসাইকেলসহ দুজনকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন আলমডাঙ্গা উপজেলার হাউসপুর স্কুলপাড়ার বজলুর রহমানের ছেলে রাসেল (৩২) ও একই এলাকার মারজুল রহমানের ছেলে সোহেল। আটক দুজনের স্বীকারোক্তিতে রোববার রাত ১০টার দিকে কুষ্টিয়ার মিরপুর থানার শ্রীরামপুর গ্রামের পূর্বপাড়ায় অভিযান চালিয়ে ওই এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে আব্বাস উদ্দিনকে (৪২) আটক করা হয়। এ সময় তার বাড়ি থেকে ৩টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। আব্বাসের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাত ১২টার দিকে মিরপুর থানার বাঁশবাড়ীয়া কুরশা গ্রামে অভিযান চালিয়ে একটি চোরাই মোটরসাইকেলসহ একই এলাকার মৃত মসলেম ম-লের ছেলে জমির আলীকে (৩৫) আটক করা হয়। রাত দেড়টার দিকে আলমডাঙ্গার উদয়পুর গ্রামের আয়ুব আলীর ছেলে জাহিদুল ইসলামের (৩৭) বাড়িতে অভিযান চালিয়ে একটি চোরাই মোটরসাইকেলসহ তাকে আটক করা হয়। রাত দুইটার দিকে আলমডাঙ্গার কুমারী গ্রামের গাংপাড়ার আব্দুল মজিদের ছেলে মারুফ হোসেনের (২৩) বাড়িতে অভিযান চালিয়ে একটি চোরাই মোটরসাইকেলসহ তাকে আটক করা হয়।
পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল-মামুন আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা মোটরসাইকেল চুরির বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তারা বিভিন্ন এলাকা থেকে চোরাই মোটরসাইকেল সংগ্রহ করে নিয়ে এসে নিজেদের হেফাজতে রাখেন এবং সময় সুযোগমত বিক্রি করেন। আটককৃতদের মামলাসহ আদালতে পাঠানো হয়েছে। উদ্ধার হওয়া ৯টি মোটরসাইকেল আলমডাঙ্গা থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। প্রকৃত মালিকানা প্রমাণ করতে পারলে মোটরসাইকেল তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে উল্লেখ করেন।