কতোজনের নিকট থেকে কি পরিমাণের অর্থ হাতিয়েছে তা জানার প্রক্রিয়া শুরু করেছে পুলিশ
স্টাফ রিপোর্টার: আদিয়ান মার্ট কতোজন গ্রাহকের নিকট থেকে মোট কতো টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তা নিশ্চিত করে জানার প্রক্রিয়া শুরু করেছে পুলিশ। এরই অংশ হিসেবে গ্রেফতারকৃত ৪ জনের ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়েছে। গতপরশু শনিবার বিকেলে আদিয়ান মার্টের সিইও জুবায়ের সিদ্দিকী মানিকসহ গ্রেফাতরকৃত ৪ জনকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। সদর থানায় দায়েরকৃত আতিকুর রহমানের মামলায় এদের আটক করে পুলিশে দেয় র্যাব-৬ এর ঝিনাইদহ ক্যাম্প।
বিভিন্ন ব্রান্ডের পণ্য কোম্পানির নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অনেক কম দামে দেয়ার কথা বলে দেশে ইভ্যালিসহ বেশ কিছু ই-কর্মার্স নামক প্রতিষ্ঠান অসংখ্য মানুষের নিকট থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। ই-ভ্যালির সিইও, ই ওরেঞ্জের কর্মকর্তাসহ অনেকেই গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে জেলহাজতে। প্রায় একই সময়ে একই কৌশলে বহু গ্রাহকের নিকট থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চুয়াডাঙ্গায় বসে গড়ে তোলা ইন্টারনেট ভিত্তিক আদিয়ান মার্ট নামক প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন। এদের নিয়ে তীব্র সমালোচনার এক পর্যায়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের বোয়ালমারীর মৃত ওহিদুল ইসলামের ছেলে আতিকুর রহমান উজ্জ্বল প্রতারণার অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করেন। বলেন, আদিয়ান মার্টের সিইওসহ তার সহযোগীরা ১৯ লাখ ৫২ হাজার ৪শ ৮০ টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করেছে। এ মামলা রুজুর পর র্যাব-৬ এর ঝিনাইদহ ক্যাম্প সদস্যরা চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন স্থান থেকে আটক করে জুবায়েরের বাবা আবু বক্কর সিদ্দিক, ভাই কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহমুদ সিদ্দিক ওরফে রতন এবং ম্যানেজার মিনারুল ইসলামকে।
র্যাব এদের আটকের পর জানায়, আদিয়ান মার্ট নামে খোলা ই-কর্মাসের মাধ্যমে কতোজনের নিকট থেকে ঠিক কতো টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তা নিশ্চিত করে জানা না গেলেও প্রাপ্ত তথ্য মতে, প্রায় ৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে আদিয়ান মার্টের বিরুদ্ধে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ১ হাজার ৮০০-এর মতো এনভয়েস অর্ডার বাকি আছে। এদিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেছেন, আসামিদের অপকর্ম সম্পর্কে বিষদে জানার জন্য রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক একেএম জাহাঙ্গীর কবির বলেন, শনিবার বিকেলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতের বিচারক মানিক দাসের আদালতে তাদের হাজির করে ৭দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। আদালতের বিচারক তাদের চারজনকেই কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে তাদের কঠোর নিরাপত্তায় কারাগারে নেয়া হয়।