স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় অভিনব কায়দায় প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়ার সময় প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে আটক করেছে সদর থানা পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা শহরের ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় হাতিয়ে নেয়া এক লাখ টাকা উদ্ধারের পাশাপাশি জব্দ করা হয় ভূয়া অফিসের আসবাবপত্র। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী জীবননগর উপজেলার ইয়াসিন আলী বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। আটককৃত প্রতারক চক্রের সদস্যরা হলেন, গোপালগঞ্জ জেলার মকছেদপুর উপজেলার পূর্ব ভাকুরি গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে রাকিবুল (৪১) এবং ঢাকার মিরপুর শাহ আলী থানার সামসুল হকের ছেলে সেলিম মাহমুদ (৫০)।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ সেপ্টেম্বর মোবাইল কোম্পানির লোক পরিচয়ে এক প্রতারক জীবননগর উপজেলার কাশিপুর গ্রামের মৃত খোদাবক্স ম-লের ছেলে ইয়াসিন আলীর বাড়িতে যায়। সে সময় ওই প্রতারক ইয়াসিন আলীকে বলে, ‘আমাদের কোম্পানি এই এলাকায় একটি মোবাইল টাওয়ার তৈরি করবে। তার জন্য আমরা একটা জায়গা ভাড়া নেব। ইতিমধ্যে আমরা কিছু জায়গা সিলেক্ট করেছি, যার মধ্যে আপনার বাড়িও আছে। আপনি যদি আমাদের কাছে জায়গা ভাড়া দেন তাহলে এককালীন বিশ লক্ষাধিক টাকা এবং মাসে মাসে সাড়ে সতের হাজার টাকা করে ভাড়া পাবেন। এর জন্য আপনাকে সাড়ে তিনলাখ টাকা নিয়ে চুয়াডাঙ্গা শহরের ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আমাদের অফিসে যোগাযোগ করতে হবে।’ পরে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে এক লাখ টাকা নিয়ে চুয়াডাঙ্গা শহরের ওই অফিসে আসেন ইয়াসিন আলী। বিভিন্ন কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে কৌশলে ওই এক লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক রাকিবুল ও সেলিম মাহমুদ। এ সময় কথাবার্তার এক পর্যায়ে প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে সেখান থেকে কৌশলে বের হয়ে সদর থানায় আসেন ভুক্তভোগী ইয়াসিন। সদর থানার ওসিকে খুলে বলেন বিস্তারিত। সাথে সাথে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি মাহাব্বুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালান শহরের ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ড এলাকার ওই ভূয়া অফিসে। এ সময় দুই প্রতারক রকিবুল ও সেলিমকে আটকের পাশাপাশি উদ্ধার করা হয় এক লাখ টাকা এবং জব্দ করা হয় ভূয়া অফিসের আসবাবপত্র। এ ঘটনায় গতকাল রাতেই ভুক্তভোগী ইয়াসিন আলী বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সদর থানার ওসি মাহাব্বুর রহমান বলেন, শহরের ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী একটি মামলা দায়ের করেছেন। প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেফতারে কাজ শুরু করেছে পুলিশ।