স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে সড়কের কামাল সার্জিক্যালকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেই সাথে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ওই প্রতিষ্ঠানটি। চিকিৎসাপত্র ছাড়াই অবৈধভাবে ঘুমের ইনজেকশন বিক্রির অপরাধে ওই প্রতিষ্ঠানটিকে জরিমানাসহ বন্ধ করে দেয়া হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শামীম ভুইয়া ভ্রাম্যমাণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল সড়কের কামাল সার্জিক্যাল চিকিৎসাপত্র ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে ঘুমের ইনজেকশন বিক্রি করে আসছিল। বুধবার রাতে ওই প্রতিষ্ঠানটি চিকিৎসাপত্র ছাড়াই অবৈধভাবে ঘুমের ইনজেকশন বিক্রি করলে বিষয়টি এলাকার সাধারণ মানুষের নজরে আসলে সেখানে হৈচৈ সৃষ্টি হয়। চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কামরুজ্জামান চাঁদ সেখানে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়ার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের একটি টিম সেখানে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় এবং অভিযুক্ত কামাল সার্জিক্যালের মালিক কামাল হোসনকে আটক করে থানায় নেয়। এদিকে, অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলা পরিষদের ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো হয়। সেখানে অরিযুক্ত কামাল হোসেনকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করাসহ পরবর্তী নির্দেশ দেয়া না পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেয়া হয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কামাল সার্জিক্যালের মালিক কামাল হোসেন খুলনার খালিশপুর এলাকার মৃত আব্দুর সামাদ হাওলাদারের ছেলে। তিনি চুয়াডাঙ্গা শহরের সিনেমা হল পাড়ায় বসবাস করে আসছেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি চিকিৎসাপত্র ছাড়াই অবৈধভাবে ঘুমের ইনজেকশনসহ অনুমতি না থাকলেও প্যাথেড্রিন ইনজেকশন বিক্রি করে আসছিলেন। এর আগেও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা তাকে বিভিন্ন ভাবে শতর্ক করেছেন। তারপরও তিনি ওই কাজ চালিয়ে গেছেন। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শামীম ভুইয়া বলেন, চিকিৎসাপত্র ছাড়া ঘুমের ইনজেকশন বিক্রি করা নিষেধ থাকার পরও কামাল সার্জিক্যাল দীর্ঘদিন ধরে সেই কাজটি করে আসছিল। এলাকাবাসির অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার রাতে কামাল সার্জিক্যালের মালিক কামাল হোসেনকে আটক করে পুলিশ। বিভিন্ন স্থানে খোঁজ খবর নিয়ে ঘটনার সত্যতা প্রমানিত হয়। সেই অপরাধে প্রতিষ্ঠান মালিককে জরিমানাসহ প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাব্বুর রহমান কাজল বলেন, কামাল সার্জিক্যালের মালিক দীর্ঘদিন ধরেই ওই কাজ করে আসছিলেন। বুধবার রাতে এলাকার সাধারণ জনগণ হাতেনাতে ধরলে আমরা সেখানে যায় এবং প্রতিষ্ঠান মালিককে আটক করে থানায় নিয়ে আসি।