একটি মুনিয়া পাখিকে খাঁচার ভেতরে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে! পরিস্থিতিগত ধকল সামলাতে না পেরে পাখিটি নিজেই আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছে নাকি কেউ তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে/করিয়ে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে- সেটা স্পষ্ট হবে ময়নাতদন্ত ও মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন পাওয়া গেলে।
এই ঘটনায় সন্দেহের তীর যার দিকে ধাবিত, রাতের আঁধারে তিনি দেশত্যাগ করে ধরা-ছেঁয়ার বাইরে চলে যাওয়ায় অভিযোগের মাত্রা আরো ঘনীভূত হওয়াটাই স্বাভাবিক। এতোদিন জানতাম- জীবন্ত মানুষ চলাফেরা করে যাত্রীবাহী বিমানে আর মরদেহ যায় কার্গো বিমানে; কিন্তু এবারে ঘটলো ঠিক উল্টোটা!
এখন ‘অভিযুক্তকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না’- এই অজুহাতে কালক্ষেপণ করা যেতেই পারে, যতদিন পর্যন্ত অন্য কোনো ইস্যু এসে এই ঘটনাকে ধামাচাপা না দিচ্ছে। পরে সুযোগ বুঝে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে বিষয়টি খুব সহজে নিষ্পত্তি করা সম্ভব। কিন্তু প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা নিশ্চিত করা না গেলে সমাজে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা একের পর এক ঘটতেই থাকবে!
উচ্চ মাধ্যমিকে পড়া অল্প বয়স্কা একটি মেয়ে- এই মুহূর্তে যার কোনো ক্লাসও নেই, মাসিক এক লাখ টাকায় সে রাজধানীর অভিজাত এলাকার একটি ফ্ল্যাটে একাকী ভাড়া থাকে- এটা কি তার পরিবার জানতো না? নিশ্চয় জানতো, নইলে খুব দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে গেল কিভাবে? হয়ত তারাও এতোদিন নানাভাবে সুবিধা ভোগ করেছে… শিল্পপতির ছেলে ধরেছে- সেটার কতটুকু পরিবার নিয়েছে, সব খতিয়ে দেখা উচিৎ। দু’জনের অন্তরঙ্গ ছবিগুলো কে বা কারা কবে কোথায় তুলেছিল, তাদেরকেও জেরা করা দরকার।
বাড়ির মালিকের মেয়ের জামাতা ইব্রাহিমের কাছে প্রতি মাসে ভাড়া ও সার্ভিস চার্জ বাবদ ১১১,০০০/- টাকা কে পাঠাতেন- সেটা খোঁজ নিলেই সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে। জামানত বাবদ দুই লাখ টাকা অগ্রিম দিলেই যথাযথ খোঁজ-খবর না নিয়ে যার-তার কাছে ফ্ল্যাট ভাড়া দিয়ে দিতে হবে? ভবন-মালিক কিভাবে এই দায় এড়াবেন?