শরিফ রতন/মোস্তাফিজ কচি: দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে কার্পাসডাঙ্গা-মুজিবনগর সড়কটি। বিশেষ করে কার্পাসডাঙ্গা বাজারের তেলপাম্প থেকে আটকবর পর্যন্ত। এই রাস্তার বিভিন্ন অংশে সৃষ্ট বড় বড় গর্ত আর খানাখন্দে যাতায়াতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পথচারিদের। যাতায়াতে ভোগান্তি লাঘবে চলতি মরসুমের মধ্যে সড়কটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান, কার্পাসডাঙ্গা বাজার থেকে আটকবর পর্যন্ত অনেক স্থানে সড়ক ভেঙে বড় বড় গর্তে পরিণত হয়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই এইসব গর্তে পানি জমে সৃষ্টি হয় মিনি পুকুর। রাস্তার এমন বেহাল দশায় মুর্মূষু রোগী বা গর্ভবতী মহিলাদের হাসপাতালে নিয়ে হিতে বিপরীত ঘটনা ঘটে। মাত্রাতিরিক্ত ঝাঁকুনিতে অসুস্থদের অবস্থা আরো খারাপ হয়ে যায়। তাছাড়া রাস্তায় সৃষ্টি হওয়া ছোটবড় গর্ত আর খানাখন্দে যানবাহন চালাতে গিয়ে বিপাকে পড়েন চালকরা। একটু এদিক সেদিক হলেই দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয় চালক ও যাত্রীদের।
শিক্ষক মতিয়ার রহমান জানান, রাস্তাটি চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপযোগী এই রাস্তা দিয়ে হাজার হাজার পথচারীরা দৈনিক আসা যাওয়া করে। প্রায় জায়গায় ভাঙা, ইট উঠানো, বড় বড় গর্ত হয়ে খাল হয়ে গেছে, প্রতিদিনই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে পথচারী ও সাধারণ জনগণ। কার্পাসডাঙ্গা ও নাটুদাহ এলাকায় প্রায় ১০টি ইট ভাটা আছে। ভাটা মালিকরা যদি দুই গাড়ি করে ইট দিয়ে আপাতত গর্তগুলো সমান করে দিতো তাহলে আপাতত রাস্তাটি কিছুদিনের জন্য চলাচলের উপযোগী হতো। বিষয়টি ভাটা মালিকরা ভেবে দেখলে এলাকার মানুষের উপকার হতো।
কার্পাসডাঙ্গা বাজারের মোবাইল ব্যবসায়ী আরামডাঙ্গা গ্রামের আবুল কালাম আজাদকে দেখা যায় সড়কের কিছু জায়গায় যেখানে গর্ত সেখানে লাঠি দিয়ে লাল পতাকা তুলে দিচ্ছেন। এসময় তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। যেনো দেখার কেউ নেই। ভাঙাচোরা সড়ক দিয়ে গাড়ী চালাতে অনেক কষ্ট হয়। খুবই সর্তক হয়ে ড্র্রাইভিং করতে হয়। একটু এদিক সেদিক হলেই দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয়। এই রাস্তা দিয়ে দেশের সকল জেলার মানুষ চলাচল করে থাকেন। ভাঙাচোরা রাস্তায় চলাচলে সীমাহিন ভোগান্তি পোহাতে হয় সাধারণ মানুষের। সড়কটি সংস্কার করার দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।