মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) বাসায় ফিরেছেন লালনসংগীতের বরেণ্য কণ্ঠশিল্পী ফরিদা পারভীন। করোনা পজিটিভ হওয়ার পর যেসব জটিলতা ছিল, আপাতত তা নেই। কিডনির সমস্যাও এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে।
করোনা পজিটিভ হওয়ার পর থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শে শুরুতে বাসায়ই চিকিৎসাসেবা নিয়েছিলেন ফরিদা পারভীন। হঠাৎ শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়াতে তাঁকে ঢাকার মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তিন দিনের মাথায় করোনার উপসর্গ কমা শুরু হলেও কিডনি জটিলতা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিল শিল্পীর পরিবার। অবশেষে সবকিছুর উন্নতি শেষে মঙ্গলবার বাসায় ফেরার অনুমতি পান ফরিদা পারভীন। শিল্পীর জামাতা সাজ্জাদুর রহমান বলেন, ‘এখন তিনি ভালোই আছেন। খাওয়া-দাওয়া স্বাভাবিক। করোনার কোনো ধরনের উপসর্গ নেই। তবে এখনো করোনা ফলাফল নেগেটিভ কি না, তা জানা যায়নি। আমরা টেস্টও করাইনি। ওষুধপত্র দিয়েছেন। সপ্তাহখানেক পর ফলোআপের জন্য আবার ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।
গত মাসের শেষ দিকে জ্বর ও খুসখুসে কাশি ছিল ফরিদা পারভীনের। করোনার উপসর্গ ভেবে একাধিকবার নমুনা পরীক্ষা করান। দুবারই ফলাফল নেগেটিভ আসে। সর্বশেষ ৭ এপ্রিলের পরীক্ষায় তাঁর করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে এবং শেষ পর্যন্ত তাঁকে হাসপাতালে যেতে হয়। ১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর নাটোর জেলার সিংড়া থানার শাওল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ফরিদা পারভীন। জন্ম নাটোরে হলেও বড় হয়েছেন কুষ্টিয়ায়। ১৯৬৮ সালে রাজশাহী বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে নজরুলসংগীত গাইতে শুরু করেন। পরে ১৯৭৩ সালে দেশাত্মবোধক গান গেয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। সাধক মোকসেদ আলী শাহর কাছে ফরিদা পারভীন লালনসংগীতে তালিম নেন।