আমি এখনও ট্রমায় আছি। আমার গত ২৭ দিনে ঘুম হয়নি। দুঃস্বপ্নের ঘোর এখনও কাটেনি।’ হাজতমুক্ত হয়ে বাসায় ফিরে পরীমণি ভাবেই নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। বলেছেন, ‘আমি সারাজীবন মানুষের জন্য কাজ করেছি, মানুষের পাশে থেকেছি, কোনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেইনি।’
জামিনে মুক্তি পেয়ে আজ সকালে কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন পরীমনি। সন্ধ্যায় প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বাসা থেকে তিনি ঢাকার একটি পত্রিকাকে বলেন, ‘মনে হচ্ছে ২৭ দিন দুঃস্বপ্নের ঘুমে ছিলাম। ঘুম না হওয়ায় শারীরিকভাবে আমি বিপর্যস্ত। কিন্তু মনোবল এখনও অটুট আছে। কারণ আমি কোনো অন্যায় করিনি। অন্যায় করলে আমার মনোবল ভেঙে যেত।’
বন্দী জীবনের অভিজ্ঞতার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে কী হয়েছে একটু শারীরিকভাবে সুস্থ হয়ে মিডিয়াকে বলব। আমি অবশ্যই বলব। কেমন ছিল আমার বন্দী জীবন।’
হাজতবন্দি অবস্থায় কীভাবে মেহেদি পেয়েছেন সেই কথাও জানালেন পরীমনি, ‘কারাগারের অফিস কক্ষে আমি যখন মুক্তির আনুষ্ঠানিকতা শেষ করার অপেক্ষায় তখন একটি মেয়েকে দেখলাম হাতে মেহেদি দিচ্ছে। তার কাছ থেকে নিয়ে আমি হাতে লিখে বার্তা দিতে চেয়েছি। দুমুখো সাপ থেকে সাবধান!’ এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘আমার হাতে লেখা বার্তা ছিল দুমুখো সাপদের জন্য। যারা মুখে বলে ভালোবাসার কথা, কিন্তু প্রয়োজনে কাছে পাওয়া যায় না। যারা স্বার্থ নিয়ে নিজেরা ব্যস্ত তাদের আমার জীবনে কোনো প্রয়োজন নেই। তারাই ‘বিচ’।’
গত ৪ অগাস্ট বনানীতে পরীমনির বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরদিন তার বিরুদ্ধে বনানী থানায় মাদক আইনে মামলা করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তিন দফায় তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। সর্বশেষ রিমান্ড শেষে তাকে ২১ আগস্ট কারাগারে পাঠানো হয়। গতকাল তাকে জামিন দেন আদালত।