শৈত্যপ্রবাহ আর কয়েকদিন তারপর ফাল্গুনি আমেজ

স্টাফ রিপোর্টার: মাঝ রাত থেকেই ঘন কুয়াশা। বেলা গড়িয়ে দুপুর হলেও কোনো কোনো এলাকায় সূর্যের দেখা মেলেনি। গতকাল শুক্রবার সকালে দিকে সূর্য উঁকি দিলেও তেজ ছিলো না। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতেই মেঘলা আকাশ হলেও ছিলো শীতল বাতাস। দেশের বেশির ভাগ এলাকায় তাপমাত্রা কমছে। শৈত্যপ্রবাহ দেশের পুরো উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। শীতের তীব্রতা আরও বেড়ে সপ্তাহখানেক স্থায়ী হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে কাঁপন ধরিয়ে বিদায় নিতে পারে শীত। এরপর আসবে ফাল্গুনি আমেজ। এরমধ্যেই ফাগুনের আভাসও দিচ্ছে আবহাওয়া। দেশের বিভিন্ন এলাকায় আম গাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। পলাশসহ ফাগুনের অন্যান্য ফুলের কলিও দেখা যাচ্ছে। ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে শীতের বিরহী ভাব থেকে বেরিয়ে আসতে পারে প্রকৃতি। প্রকৃতি মেতে উঠেছে নতুন সাজে সাজতে। আবাহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমান বলেন, দেশের উত্তর পশ্চিম অঞ্চল দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আগামী কয়েক দিন তা অব্যাহত থাকবে। এবারের শৈত্যপ্রবাহের সঙ্গে বৃষ্টি নামার আভাস নেই। আগামী ২৪ ঘণ্টায় শীতের তীব্রতা কিছুটা কমবে। এরপর আবার বাড়তে থাকবে। সপ্তাহ খানেক পর তাপামাত্রা বেড়ে শীত বিদায় নিতে পারে। জাঁকিয়ে শীতের আর আশঙ্কা নেই। শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়া এলাকার মধ্যে রয়েছে সীতাকুন্ড, কুমিল্লা, শ্রীমঙ্গল, রাজশাহী, ঈশ্বরদী, দিনাজপুর, তেতুলিয়া, ডিমলা, রাজারহাট, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা। এছাড়া আরও বিভিন্ন অঞ্চল দিয়ে মৃদু আকারে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো পঞ্চগড়ের তেতুলিয়ায়; ৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সীতাকুন্ডে; ২৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

 

Comments (0)
Add Comment