খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে করোনা পরীক্ষার ভুয়া সনদ প্রদানের সত্যতা মিলেছে। গঠিত কমিটির তদন্তে বেরিয়ে এসেছে প্রকৃত তথ্য। ফলে দোষিদের শাস্তির সুপারিশ করেছে কমিটি।
তদন্ত কমিটির পক্ষ থেকে সোমবার এ সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে। কমিটির পক্ষে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইউসুফ আলী জেলা প্রশাসক বরাবর প্রতিবেদন জমা দিয়ে পুলিশি ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেন। এর আগে অভিযোগ ছিল, খুমেক হাসপাতালের আউট সোর্সিং কর্মচারী (লিফটম্যান) নওশাদ অর্থের বিনিময়ে নগরের বিকে রায় ক্রস রোডের তানিয়া বেগমকে ও পশ্চিম বানিয়াখামার এলাকার শামীম আহমেদকে নেগেটিভ সার্টিফিকেট প্রদান করে। কিন্তু প্রকৃত নমুনা পরীক্ষায় তাদের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। ফলে বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ দেখা দেয়। এমনকি তাদের যে আইডির মাধ্যমে নেগেটিভ সার্টিফিকেট দেয়া হয়েছিল তাও ভুয়া বলে তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে তদন্ত কমিটির সদস্য সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ বলেন, তদন্তে ভুয়া করোনা সনদ প্রদানের সত্যতা পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত খুমেক হাসপাতালের লিফটম্যান নওশাদকে পুলিশ খুঁজছে। তাকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে এ ধরনের জালিয়াতির সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করা সম্ভব হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। এর আগে এ বিষয়ে অভিযোগের প্রেক্ষিতে খুলনা জেলা প্রশাসন ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটিতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, ডেপুটি সিভিল সার্জন, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার, জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের পরিচালকের একজন প্রতিনিধি তদন্ত করেন।