দামুড়হুদা ব্যুরো: দামুড়হুদায় আপন ছোট ভাই ও ভাইপোর কারসাজিতে জমিজমা খুইয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন দুইবোন। মাঠাল জমি রেজিস্ট্রি করার কথা বলে দলিল লেখকের সহযোগিতায় কৌশলে বাগান, পুকুরসহ ভিটে জমি রেজিস্ট্রি করে নেয়া হয়েছে মর্মে অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগী দুইবোন। মাত্র ৫০ হাজার টাকা দিয়ে ৩ লাখ টাকার দলিল সম্পন্ন করার পেছনে সাবরেজিস্ট্রি অফিসের একজন এই জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত বলেও অভিযোগ তুলেছেন ক্ষতিগ্রস্ত ওই দুইবোন। জমি জালিয়াতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থার পাশাপাশি জমি ফেরত পেতে জেলা প্রশাসকের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন তারা।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দামুড়হুদা বাজারপাড়ার মৃত দীন মোহাম্মদের ছোট ছেলে হাফিজুর রহমান তার আপন দুই বোন ফাতেমা খাতুনের মাঠান ৫ কাঠা জমি ৭০ হাজার টাকায় কেনার কথা বলে দলিল লেখক একই মহল্লার জাহিদুলের সহযোগিতায় ৩ লাখ টাকার দলিল করে ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর কৌশলে মাঠান, বাগান, পুকুর ও ভিটে জমিসহ মোট ১৩ শতক ৫ পয়েন্ট জমি রেজিস্ট্রি করে নেয়। একইদিন ফাতেমার মেজ ভাই মৃত শহিদুল ইসলামের ছেলে রকিবুল হোসেন সোনা মিয়া কৌশলে আলাদা দলিল করে একই পরিমাণ জমি রেজিস্ট্রি করে নেয়। ভাই হাফিজুরের নামে রেজিস্ট্রিকৃত দলিল নং-৭৪৬৯। তবে ভাইপো রকিবুলের নামে রেজিস্ট্রিকৃত জমির দলিলের নকল তুলতে না পারায় দলিল নং পাওয়া যায়নি। ভূক্তভোগী ফাতেমা খাতুন অভিযোগ করে বলেছেন এর এক মাসের মাথায় ভাই হাফিজুর ও ভাইপো সোনা মিয়া আবারও যোগসাজস করে একইভাবে সেজ বোন জোহুরা খাতুনের জমি রেজিস্ট্রি করে নেয়। একইভাবে গত ১০ জুন তারিখে বড় বোন রোকিয়া খাতুনের জমাজমি ভাই হাফিজুর ও ভাইপো সোনা মিয়া কৌশলে আলাদা আলাদা দুটি দলিল করে রেজিস্ট্রি করার সময় বিষয়টি ধরা পড়ে। জমি রেজিস্ট্রি না করে বাড়ি ফিরে যান বোন রোকেয়া খাতুন। পরে তিনি এ সংক্রান্তে দামুড়হুদা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ভাই হাফিজুর রহমান ও ভাইপো সোনা মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তারা বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, জালিয়াতি করে কোনো জমি রেজিস্ট্রি করে নেয়া হয়নি। বরং তারাই আমাদের কয়েকটি দাগের জমি আমাদের কাছে বিক্রি করার কথা বলে টাকা নেয়ার পর গোপনে বাইরের লোকের কাছে বিক্রি করেছে। জমি রেজিস্ট্রির সময় তারা দেখেনি কেন? এখন অভিযোগ করলে তো হবে না।