স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় কারও অপরাধ থেকে থাকলে তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। বুধবার রাজধানীতে নিজের বাসায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ বিষয়ে কথা বলেন তিনি।
সোমবার রাতে ঢাকার গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় ২১ বছর বয়সী মুনিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে তার বোন ইসরাত জাহান তানিয়া গুলশান থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের বিরুদ্ধে ‘আত্মহত্যায় প্ররোচনার’ অভিযোগ আনা হয়। মামলায় বলা হয়েছে, ওই তরুণীর সঙ্গে ‘প্রেমের সম্পর্ক’ ছিল আনভীরের; গুলশানের ওই ফ্ল্যাটে তার যাতায়াতও ছিল। তবে এসব বিষয়ে সায়েম সোবহানের কোনো বক্তব্য কোনো গণমাধ্যমই পায়নি। বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় ‘প্ররোচনার’ অভিযোগ এনেছে মুনিয়ার পরিবার।পুলিশের আবেদনে আদালত ইতোমধ্যে সায়েম সোবহান আনভীরের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। তবে তিনি আদৌ দেশে আছেন কি না, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে কোনো কোনো সংবাদমাধ্যমের খবরে। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমি স্পষ্ট…. আইন অনুযায়ী আইন চলবে। যে অপরাধী হয়, তাকে আইনের মুখোমুখি হতে হবে, বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।” তবে বিষয়টি যেহেতু তদন্তাধীন, তা শেষ হলেই এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে বলে মন্তব্য করেন আসাদুজ্জামান খান কামাল। মুনিয়া ঢাকার একটি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি কুমিল্লায়; পরিবার সেখানেই থাকে। তিনি ঢাকায় একাই থাকতেন গুলশানের ওই ফ্ল্যাটে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী মঙ্গলবার বলেন, “ওই তরুণীর মৃহদেহ উদ্ধারের পর সেখান থেকে তার মোবাইলসহ বিভিন্ন ধরনের আলামত উদ্ধারের সাথে ৬টি ডায়েরি পাওয়া যায়। এসব ডায়েরিতে কী লেখা আছে, তা যাচাই করা হচ্ছে। ওই ফ্ল্যাটে তরুণীর একা থাকার কথা বলা হলেও কে কে আসা যাওয়ার মধ্যে থাকত, সে জন্য ভবনের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া ডায়েরির সাথে সেগুলো যাচাই চলছে।”