সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশ ১৩তম: টিআই
স্টাফ রিপোর্টার: বিশ্বের ‘সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১৩তম বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই)। মঙ্গলবার বার্লিনভিত্তিক দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটির প্রকাশ করা ‘দুর্নীতির ধারণা সূচকে’ (সিপিআই) এ তথ্য উঠে এসেছে। মূলত ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩তম, যা ২০২০ সালের তুলনায় এক ধাপ উন্নতি। তখন ছিল ১২তম। তবে স্কোর আগের মতোই ২৬। এ তালিকায় ওপরের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৭তম। ২০২০ সালে ওপরের দিক থেকে ছিল ১৪৬তম। এ তুলনায় দেশটি এক ধাপ নিচে নেমেছে। এবারও ১০০-এর মধ্যে বাংলাদেশের স্কোর ২৬। গত চার বছর ধরে একই স্কোর বাংলাদেশের। সবচেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় অর্থাৎ তালিকাটির উপরের দিক থেকে এক নম্বরে রয়েছে, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড। এদের স্কোর যথাক্রমে ৮৮। এর পরে রয়েছে নরওয়ে, সিঙ্গাপুর ও সুইডেন। দেশ তিনটির স্কোর ৮৫। তালিকাটির একদম নিচে বা ‘সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত’ দেশ দক্ষিণ সুদান। দেশটির স্কোর ১১। এর পরে রয়েছে সিরিয়া ও সোমালিয়া। তাদের স্কোর ১৩। এছাড়া ১৪ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভেনেজুয়েলা। মূলত এদিক থেকেই ১৩তম বাংলাদেশ। তবে দক্ষিণ এশিয়ার দুর্নীতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় বাংলাদেশ। একমাত্র আফগানিস্তানই রয়েছে বাংলাদেশের নিচে। তবে দেশটির স্কোর ১৬, যা বাংলাদেশের চেয়ে বেশ কম। পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর মধ্যে পাকিস্তান ও মিয়ানমারের স্কোর রয়েছে ২৮। তবে ভারতের স্কোর ৪০।
ধর্ষণ মামলায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে যুবলীগ নেতার সাক্ষ্য
স্টাফ রিপোর্টর: হেফাজতে ইসলামের সাবেক নেতা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সোনারগাঁও থানার ধর্ষণ মামলায় এক যুবলীগ নেতাসহ তিন জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে তৃতীয় দফায় এ তিন জন সাক্ষ্য প্রদান করেন। তারা হলেন- সোনারগাঁও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু, রয়্যাল রিসোর্টের কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান ও আনসার সদস্য ইসমাইল হোসেন। এ নিয়ে মোট সাতজন সাক্ষ্য দিলেন। এ মামলায় মোট ৪৩ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
এদিন সকালে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে কাশিমপুর কারাগার থেকে মামুনুল হককে নারায়ণগঞ্জ আদালতে আনা হয়। মামুনুল হকের সঙ্গে দেখা করতে নারায়ণগঞ্জ আদালতে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন তার ছোট ভাই মাশরুর হোসেন ও ছোট বোন সায়মা, ভাগিনা জাবেদসহ পরিবারের অনেক সদস্য। আদালতের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর রকিবুদ্দিন আহমেদ এসব তথ্য জানান।
যুবলীগ নেতা রফিকুল আদালতে বলেন, ঘটনার দিন তিনি রয়্যাল রিসোর্টে অনেক মানুষের সমাগম দেখে সেখানে যান। এ সময় সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বেশ কিছু সাংবাদিককেও দেখতে পান। ওই সময় সাংবাদিকরা মামুনুল হকের কক্ষের দরজায় নক করলে তিনি দরজা খুলে দেন। এরপর স্থানীয় মানুষের সঙ্গে মামুনুল হক সঙ্গের নারীকে নিয়ে বাগ্বিত-ায় জড়িয়ে পড়েন। খবর পেয়ে কিছু সময় পর পুলিশ আসে।
ইতালি যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে নৌকায় ৭ বাংলাদেশির মৃত্যু
মাথাভাঙ্গা মনিটর: মধ্যপ্রাচ্যের দেশ লিবিয়া থেকে ইতালির ভূমধ্যসাগরীয় দ্বীপ ল্যাম্পেদুসা যাওয়ার পথে হাইপোথার্মিয়ায় (শরীরের তাপমাত্রা কমে যাওয়া) ৭ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার ইতালির অ্যাগ্রিজেনটো শহরের প্রসিকিউটর লুইগি প্যাট্রোনাজ্জিওর এক বিবৃতির বরাতে এ তথ্য জানায় বার্তাসংস্থা রয়টার্স। বিবৃতিতে বলা হয়, কোস্টগার্ডের সদস্যরা রাতে ল্যাম্পেদুসার কাছে একটি জনবসতিহীন দ্বীপ ল্যাম্পিওন থেকে ১৮ মাইল দূরে (২৯ কিলোমিটার) নৌকাটি দেখতে পান। এর পর উদ্ধার অভিযান পরিচালিত হয়। এ বিষয়ে লুইগি প্যাট্রোনাজ্জিওর অফিস অবৈধ অভিবাসন ও নরহত্যার অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে। ল্যাম্পেদুসার মেয়র সালভাতোর মার্টেলো সাতজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। মার্টেলো বলেন, ওই নৌকায় ২৮০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী ছিলেন। তাদের মধ্যে অধিকাংশই বাংলাদেশ ও মিসরের নাগরিক। ইউরোপে ঢোকার জন্য হাজার হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশীর কাছে ইতালি অন্যতম একটি রুট হিসেবে বিবেচিত হয়। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত এক হাজার ৭৫১ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী ইতালির বন্দরে নেমেছেন।