মাগুরা ও পঞ্চগড় জেলাসহ দেশের ৫২ উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা
স্টাফ রিপোর্টার: মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে সরকারের ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের জন্য আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করার অংশ হিসেবে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ের আওতায় জমিসহ সেমি-পাকাঘর উপহার দেয়া হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা জেলায় ১৬৬টি ও মেহেরপুরে ৯৭টিসহ দেশের ২৬ হাজার ২২৯ পরিবার। মাগুরা ও পঞ্চগড় জেলাসহ দেশের ৫২টি জেলা ভূমিহীন আশ্রয়হীন মূক্ত ঘোষণা করে বলা হয়েছে, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারলে দেশে একটি পরিবারও ভূমিহীন আশ্রয়হীন থাকবে না। প্রতিটি ঘর তৈরিতে ব্যয় হয়েছে এক লাখ ৭১ হাজার টাকা। অনুষ্ঠানে জমির নামজারিসহ সকল কাগজপত্র ও ঘরের চাবি একটি ফাইলবন্দি করে উপকারভোগীদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। চুয়াডাঙ্গা জেলায় তৃতীয় পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে জেলার সদর উপজেলায় ৪২টি, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ৩৭টি, জীবননগর উপজেলায় ৪৯টি এবং দামুড়হুদা উপজেলায় ৩৮টি ঘর বিতরণ করা হয়। এছাড়া মেহেরপুর সদর উপজেলায় ৮৪টি, গাংনীতে ৭টি ও মুজিবনগরে ৬টি ঘর বিতরণ করা হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পাঁচটি আশ্রয়ণ প্রকল্পে যুক্ত হয়ে ভূমিহীনদের মাঝে ঘর ও জমির কাগজ হস্তান্তর অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় গণভবন প্রান্তে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রধানমন্ত্রী মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউস, আশ্রয়ণ প্রকল্পের ডিজিটাল উপস্থাপনা করেন আশ্রয়ণ প্রকল্প-২’র প্রকল্প পরিচালক আবু সালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান প্রমুখ। প্রকল্প এলাকাতে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকেরা। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিতসভায় প্রধান অতিথি সদর উপজেলার ভূমিহীনদের মাঝে ঘর ও জমির দলিল তুলে দেন। উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু তারেক, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফরের চুয়াডাঙ্গা নির্বাহী প্রকৌশলী, চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম ভূইয়া সদর উপজেলার ভূমিহীনদের ঘর নির্মাণ এবং তার পাশে শিশু পার্কসহ পুকুর খননসহ যেসব প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে তার বিস্তারিত তুলে ধরে বলেন, সদর উপজেলার আজ ৪২টিসহ ১৬৬ পরিবারের ঘর দেয়া হলো। এ আয়োজনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতার হাত বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের দেশ দিয়েছেন, তার সুযোগ্য কন্যা বিশ্ব দরবারে আমাদের তথা বাঙালি জাতিকে শক্ত অবস্থানে নেয়ার পাশাপাশি দেশের ভূমিহীনদের মাঝে ঘর ও জমি উপহার দিয়ে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
অপরদিকে গণভবন থেকে ঘর প্রদান অনুষ্ঠানের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বমহামারী, রাশিয়া-ইউক্রেইন যুদ্ধের প্রভাব এবং দেশ-বিদেশের বিভিন্ন দুর্যোগের চিত্র তুলে ধরে দেশবাসীকে সঞ্চয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘নিজস্ব সঞ্চয় আপনাদের রাখতে হবে। সেটা খাদ্য হোক, অর্থ হোক যেভাবে হোক। আপৎকালীন সময়ে যেন আপনার পরিবার কষ্ট না পায়, সেটা আপনাদের ব্যবস্থা করতে হবে। আর আমরা সরকার সবসময় পাশে আছি; আমরা থাকব, করবো। কিন্তু তাছাড়া নিজেদেরও ব্যবস্থা নিতে হবে।” মুজিববর্ষের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সারাদেশে আরও ২৬ হাজার ২২৯টি পরিবারকে জমিসহ ঘর হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সরকার প্রধানের এ বক্তব্য আসে। দেশের উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকারের নেয়া নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, একদিকে করোনাভাইরাস, অপরদিকে ইউক্রেন এবং রাশিয়ার যুদ্ধ; আর এই যুদ্ধের সময় আমেরিকা রাশিয়ার ওপর স্যাংশন (নিষেধাজ্ঞা) দিয়েছে। ‘যার ফলে আমাদের সার কিনতে সমস্যা হচ্ছে, আমাদের খাদ্য কিনতে সমস্যা হচ্ছে। কারণ ডলার দিয়ে (রাশিয়া থেকে) কেনা যায় না।’ এমন পরিস্থিতিতে শুধু বাংলাদেশ নয়; সারাবিশ্বে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে, জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে, খাদ্যের জন্য হাহাকার এবং উন্নত দেশগুলোতেও সেই হাহাকার দেখা যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। ‘আজকে আমেরিকা বলেন, ইংল্যান্ড বলেন, সব জায়গায় কিন্তু তারা ওই বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা, পেট্রোল সাশ্রয় করা, ডিজেল সাশ্রয় করা, জ্বালানির সাশ্রয় করার সেই উদ্যোগ উন্নত দেশগুলোও নিয়েছে।’ বাংলাদেশকে এখনও ‘ভালোভাবে’ পরিচালনা করা যাচ্ছে মন্তব্য করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘কিন্তু আমাদের এখন থেকেই সতর্ক থাকতে হবে এবং সতর্কতামূলক পদক্ষেপও আমরা নিয়েছি। ‘তাই আমি সবাইকে অনুরোধ করবো, বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে হবে, পানির ব্যবহার সেটাও সাশ্রয় করতে হবে, জ্বালানির ব্যবহার সেটাও সাশ্রয় করতে হবে; আর এক ইঞ্চি জমি যেন পড়ে না থাকে, খাদ্য উৎপাদন করতে হবে।’ অনেক উন্নত দেশেও খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইংল্যান্ডের মতো জায়গায়- লন্ডনে এক লিটারের বেশি তেল কেউ কিনতে পারে না, খাবারের তেল। আমাদের তো এখনই ইচ্ছে করলে পাঁচ লিটার পর্যন্ত সবাই কিনতে পারছে। আমরা জোগাড় করে দিচ্ছি।’ খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে কোনো জমি ফেলে না রাখার পরামর্শ দেয়ার পাশাপাশি পশুপাখি পালনের তাগিদ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যে যা পারেন, কিছু একটা করেন; যেন আপনার নিজের খাবারের ব্যবস্থাটা আপনি নিজে করতে পারেন। তার ফলে আমাদের কারও কাছে হাত পেতে চলতে হবে না।’ বাংলাদেশ প্রাকৃতিক দুর্যোগের দেশ, সেই কথা মনে রেখে যে কোনো দুর্যোগ মোকাবেলার প্রস্তুতি রাখার ওপর জোর দেন তিনি। দেশের নানা সংকটে দেশের প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ভূমিকার কথাও অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। ‘আওয়ামী লীগ মানুষের সংগঠন; জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া সংগঠন। কাজেই মানুষের জন্যই আমাদের কাজ এবং সেটাই আমরা করে যাচ্ছি।’ স্পেন, ইংল্যান্ডসহ ইউরোপের বিভিন্ন জায়গায় ভয়াবহ দাবানলের কথা অনুষ্ঠানে তুলে ধরে যেকোনো সংকট মোকাবেলায় সবাইকে সঞ্চয়ে মনোযোগী হতে আহ্বান জানান তিনি।
দামুড়হুদা অফিস জানিয়েছে, দামুড়হুদায় ৫৩টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে। সকালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে ঘরের চাবি হস্তান্তরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে দামুড়হুদার ৫৩ জন উপকারভোগীদের মাঝে ঘরের চাবি ও প্রয়োজনীয় দলিলপত্র হস্তান্তর করা হয়। দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা অডিটোরিয়াম হলে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উপকারভোগীদের মাঝে ঘরের চাবি ও দলিলপত্র হস্তান্তর করেন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শারমিন আক্তার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা বেগম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজি সহিদুল ইসলাম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাহিদা খাতুন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুদীপ্ত কুমার সিংহ, দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল, উপজেলা প্রকৌশলী খালিদ হোসেন, দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ, দর্শনা থানার পরিদর্শক (অপারেশন) নিখিল অধিকারী, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী, কুড়–লগাছি ইউপি চেয়ারম্যান কামাল উদ্দীন, নাটুদহ ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
উলে¬খ্য, তৃতীয় পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে জীবননগর উপজেলায় ৮৫টি ঘর বরাদ্দ পাওয়া যায়। গত ২৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী ঈদ উপহার হিসেবে সারা দেশে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য নির্মিত কিছু ঘর হস্তান্তর করেন। ওই সময় জীবননগরে ৮৫টি ঘরের মধ্যে ২৪টি ঘরের দলিলসহ যাবতীয় কাগজপত্র সুবিধাভোগীদের মধ্যে হস্তান্তর করা হয়। আর বাকি ৬১টি ঘরের দলিল গতকাল বৃহস্পতিবার হস্তান্তর করা হয়।
মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাংলাদেশের একজন মানুষও ভূমিহীন গৃহহীন থাকবে না। বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাস্তবায়নাধীন ‘আশ্রয়ণ প্রকল্প”-২ এর আওতায় মেহেরপুর সদর উপজেলায় তৃতীয় ধাপে প্রথম পর্যায়ের ৮৪টি পরিবারকে ভূমি ও গৃহ প্রদানের চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে। মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় নির্মিত গৃহ ভূমিহীন গৃহহীন প্রতিটি পরিবারকে হস্তান্তর করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার সময় মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠানিকভাবে এসব ঘর হস্তান্তর করার মধ্যদিয়ে ভূমি ও গৃহ প্রদানের অনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। মেহেরপুর স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মৃধা মোহাম্মদ মোজাহিদুল ইসলাম মেহেরপুর সদর উপজেলা ভূমিহীনদের মাঝে ভূমি ও গৃহপ্রদান করেন। সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসাদুজ্জামান রিপনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গৃহপ্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম, সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লতিফুন্নেছা লতা।
গাংনী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গাংনী উপজেলায় বাস্তবায়নাধীন ‘আশ্রয়ণ প্রকল্প’-২ এর আওতায় গাংনী উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে তৃতীয় পর্যায়ের ২য় ধাপে ২ শতাংশ জমিসহ ৭টি সেমিপাকা বাড়ি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের মাঝে হস্তান্তর করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সভাকক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের মাঝে হস্তান্তর করা হয়। গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী খানমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের মাঝে হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মেহেরপুর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আশরাফুজ্জামান ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যান এমএ খালেক, মেহেরপুর-২ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্যের প্রতিনিধি মনিরুজ্জামান আতু। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুল আলম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লাভলী খাতুন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিরঞ্জন চক্রবর্তী, ধানখোলা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাকসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ। গাংনী উপজেলার উপকারভোগীদের ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের মাঝে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদিসহ (জমির দলিল এবং খতিয়ান) তুলে দেয়া হয়। গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী খানম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার ‘বাংলাদেশের একজন মানুষও ভূমিহীন গৃহহীন থাকবে না ‘আশ্রয়ণ প্রকল্প’ প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের আওতায় গাংনী উপজেলায় ১৬০ জন ভূমিহীন-গৃহহীনদের মাঝে ঘর ও জমি বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার ৭ জনের মাঝে ও এর আগে ১৩২ জনের মাঝেসহ ১১৮ টি বরাদ্দ দেয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। বাকিগুলো নির্মাণাধীন রয়েছে। সেগুলো শেষ হলে এসব ব্যক্তিদের মাঝে বরাদ্দ দেয়া হবে।