মাদারীপুরের শিবচরে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটের কাঁঠালবাড়ী ঘাট সংলগ্ন এলাকায় বাল্কহেডের (বালু টানা কার্গো) সাথে স্পিডবোটের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে এ পর্যন্ত ২৬ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। সোমবার (৩ মে) ভোরে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। প্রাণহানির ঘটনা তদন্তে ৬ সদস্যের তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে।
শিমুলিয়া থেকে যাত্রীবাহী একটি স্পিডবোট বাংলাবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। স্পিডবোটটি কাঁঠালবাড়ী (পুরাতন ফেরিঘাট) ঘাটের কাছে আসলে নদীতে থাকা একটি বাল্কহেড এর পেছনে সজোরে ধাক্কা লেগে উল্টে যায়। খবর পেয়ে নৌপুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। কাঁঠালবাড়ী নৌপুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর থেকে আমরা ২৬ জনের লাশ উদ্ধার করেছি। দুইজনকে আহতাবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কতজন বোটে ছিল তা জানা যায়নি। উদ্ধার কাজ চলছে।’ লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ থাকার পাশপাশি নৌরুটে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে এরই মধ্যে কিছু অসাধু স্পিডবোট চালক অবৈধভাবে যাত্রী পারাপার করে আসছে। সোমবার সকাল ৯টা ৫২ মিনিটে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উদ্ধার কাজ চলছে বলে জানিয়েছে নৌপুলিশের ওসি আব্দুর রাজ্জাক।
মাদারীপুরের শিবচরে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটের কাঁঠালবাড়ী ঘাট সংলগ্ন এলাকায় বাল্কহেডের (বালু টানা কার্গো) সাথে স্পিডবোটের সংঘর্ষে প্রাণহানির ঘটনা তদন্তে ৬ সদস্যের তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। মাদারীপুর জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক আজহারুল ইসলামকে কমিটির প্রধান করা হয়েছে। মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক রহিমা খাতুন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। কমিটির অন্য সদস্য হিসেবে আছেন শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), একজন পুলিশ সদস্য, ফায়ার সার্ভিসের একজন সদস্য, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিসি) একজন ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) একজন।