স্টাফ রিপোর্টার: দেশের প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামী ৩০ মার্চ খুলে দেয়ার সিদ্ধান্তসহ আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকের সিদ্ধান্তসমূহ জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। বুধবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত আদেশ-সংবলিত একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে দেশের সব জেলা প্রশাসকদের। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সরকারি সিদ্ধান্ত নিতে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বৈঠকে ৩০ মার্চ থেকে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ওই বৈঠকে নেয়া সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার সিদ্ধান্ত ১. আগামী ৩০ মার্চ থেকে সাধারণ, মাদরাসা ও কারিগরি পর্যায়ের সব প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে। স্বাস্থ্য ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় সমন্বিতভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-কর্মচারীদের টিকা নেয়ার বিষয়টি আগামী ৩০ মার্চের আগেই সম্পন্ন করবে। ২. কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংস্কার অথবা মেরামতের প্রয়োজন হলে তা ৩০ মার্চের আগেই সম্পন্ন করতে হবে। এ বিষয়ে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে গণপূর্ত অধিদফতর সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কার অথবা মেরামতের ব্যবস্থা করবে। ৩. মাঠপর্যায়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পর্যায়ক্রমে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করবেন এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলার বিষয়টি মনিটরিং করবেন। ৪. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর এসএসসি শিক্ষার্থীদের ৬০ কর্মদিবস এবং এইচএসসি শিক্ষার্থীদের ৮০ কর্মদিবস পাঠদান করে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা নেয়া হবে। উল্লেখ্য, দেশে গত বছর ৮ মার্চ করোনা রোগী শনাক্ত হলে ওই বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। দফায় দফায় তা বাড়িয়ে কওমি মাদরাসা ছাড়া সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামী ২৯ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ৩০ মার্চ থেকে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়া হবে ২৪ মে। এর আগে ১৭ মে আবাসিক হল খুলে দেয়া হবে।