স্টাফ রিপোর্টার: করোনার কারণে শিক্ষার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে নানা পদক্ষেপের অংশ হিসেবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরকারি ছুটি কমানো হচ্ছে। শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বাড়ানো এবং শিক্ষার্থীদের ক্লাসমুখী করতে বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আসন্ন রমজানের মধ্যে উচ্চ শিক্ষায় পরীক্ষাও চালু থাকবে। প্রাথমিক-মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিকের ক্লাস চলবে ২০ রমজান পর্যন্ত। করোনাকালে প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত বার্ষিক বা অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা হয়নি। এমনকি বার্ষিক ক্যালেন্ডার অনুসরণ করা হয়নি। বর্তমানে সারাদেশে করোনা সংক্রমণ ১ শতাংশের নিচে এবং মৃত্যুহার শূন্যের কোটায় নেমে আসায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রাথমিক মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পুরোদমে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হয়েছে। এখন শিক্ষা মন্ত্রণালয় চলতি শিক্ষাবর্ষের আগামী দিনগুলোর সর্বোত্তম ব্যবহার করে শিক্ষার ক্ষতি কীভাবে কাটিয়ে ওঠা যায় সে পরিকল্পনা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে শিক্ষাবর্ষের অবশিষ্ট সময়ে সরকারি ছুটি কমানো হবে। বর্তমানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশেষ করে প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কতো তা নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। শিক্ষাবর্ষের স্বাভাবিক রুটিন অনুসারে অর্ধবার্ষিক ও বার্ষিক পরীক্ষা সময়মতো কীভাবে নেয়া হবে তার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। দুই বছরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা বের করতে কাজ করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ক্লাসে কত সংখ্যক শিক্ষার্থী অনুপস্থিত থাকছে সে বিষয়েও তথ্য নেয়া হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বিষয়ে আগামী সপ্তাহে মোটা দাগে একটি বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হবে।