নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে দামুড়হুদায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের অভিযান
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ৫ মাদকব্যবসায়ীকে দ- দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এদের মধ্যে চারজনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান এবং একজনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করে সংশ্লিষ্ট থানায় সোপর্দ করা হয়। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দামুড়হুদা উপজেলার ছোটদুধপাতিলা ও চিৎলা গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে। এসময় নেশাজাতীয় বুপ্রেনরফাইন ইনজেকশন ও গাঁজাসহ ৫ জনকে আটক করা হয়। আটককৃতদের কাছ থেকে প্রায় ৫শ’ গ্রাম এবং ১১ অ্যাম্পুল বুপ্রেনরফাইন ইনজেকশন উদ্ধার করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমজাদ হোসেন, শিবানী সরকার ও হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন, উপ-পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ, সহকারী উপ-পরিদর্শক আকবার হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে দামুড়হুদা উপজেলার ছোটদুধপাতিলা গ্রামে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় গ্রামের আবু বাক্কা ওরফে চকলার ছেলে শাফায়েত হোসেনকে (২০) নিজবাড়ি থেকে আটক করা হয়। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ১১ অ্যাম্পুল বুপ্রেনরফাইন ইনজেকশন। পরে আটককৃত শাফায়েতের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলাসহ সংশ্লিষ্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
এরপর সকাল ৮টার দিকে একই দল অভিযান চালায় দামুড়হুদা উপজেলার চিৎলা গ্রামে। এসময় পশ্চিমপাড়ার আমির হোসেনের ছেলে চিহ্নিত মাদকব্যবসায়ী সাজেদুল ইসলামকে (৪০) আটক করে তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ৪শ’ গ্রাম গাঁজা। সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে সাজেদুলকে ৬ মাসের কারাদ- প্রদান করা হয়। এরপর সাড়ে ৮টার দিকে ২৫ গ্রাম গাঁজাসহ একই এলাকার আনছার আলীর ছেলে আনোয়ারুল ইসলাম আনোয়ারকে (২৭) আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করা হয়। আনোয়ারকে ৩ মাসের কারাদ- প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সকাল ৯টার দিকে গ্রামের কদমতলা থেকে আটক করা হয় হারুনুর রশিদের ছেলে আশাকে (২২)। তার কাছে পাওয়া যায় ২০ গ্রাম গাঁজা। তাকেও তিনমাসের কারাদ- দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সাড়ে ৯টার দিকে চিৎলা গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে আহসান হাবিবকে (২৩) রাস্তা থেকে আটক করা হয়। তার কাছেও ২০ গ্রাম গাঁজা পাওয়ায় ৩ মাসের কারাদ-াদেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক।