নওগাঁর আত্রাইয়ে পারিবারিক কলহের জেরে মা জাহিদা বেওয়াকে (৬০) হত্যার পর গোপনে কবর দেওয়ার সময় ছেলে ও তার স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার দিঘা গ্রামের মৈত্রীপাড়া গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়। শীলপাটা দিয়ে আঘাত করে মাকে হত্যা করে কুলাঙ্গার জাহিদুল ইসলাম ও তার স্ত্রী।
আটকরা হলেন- জাহিদার ছেলে জাহিদুল ইসলাম (৩২) ও তার স্ত্রী রহিমা খাতুন (২৫)। নিহত জাহিদা দিঘা গ্রামের মৃত হারান প্রামানিকের স্ত্রী।
আত্রাই থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, শুক্রবার ভোর রাতে তাদের গ্রামের বাড়িতে পারিবারিক কলহের জেরে বাকবিতণ্ডা শুরুহয়। এমতাবস্তায় মা জাহিদাকে শীলপাটা দিয়ে মাথায় আঘাত করেন ছেলে জাহিদুল ইসলাম ও তার স্ত্রী রহিমা খাতুন। এতে জাহিদা ঘটনাস্থালেই মারা যান। এরপর কাউকে না জানিয়ে মা জাহিদা স্বাভাবিকভাবে মারা গেছেন বলে প্রচার করেন জাহিদুল ইসলাম। এসময় নিজ আত্মীয়দের ছাড়া স্থানীয়দের মরদেহ দেখতেও দেননি দিনি।