স্টাফ রিপোর্টার: গত দেড় বছরে করোনাভাইরাসের টিকা কিনতে সরকার ২ হাজার ২৪৯ কোটি টাকা ব্যয় করেছে। চীন ও ভারত থেকে কেনার ক্ষেত্রে এ অর্থ ব্যয় হয়। আরও ভ্যাকসিন কিনতে ৬ হাজার ২২০ কোটি টাকা ছাড়ের প্রক্রিয়া শুরু করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এই অর্থ দিয়ে ইউনিসেফের মাধ্যমে টিকা সংগ্রহ করা হবে। এছাড়া টিকা কেনার জন্য বাংলাদেশ এডিবির কাছ থেকে ৬ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা ঋণ সহায়তা পেয়েছে। আরও ১৬শ কোটি টাকা সহায়তা মিলবে এ সংস্থার কাছ থেকে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে পাওয়া গেছে এ তথ্য।
বিশ্বব্যাংকের মতে, বিশ্ব অর্থনীতির ড্রাইভিং সিটে বসে আছে করোনার টিকা। বিশ্ববাসী টিকা পাওয়ার পর আগের মতো সব ধরনের কাজে ফিরবে। এতে সারা বিশ্বেই অর্থনীতির গতি আগের চেয়ে বাড়বে। এতে প্রবৃদ্ধির হার হবে চার শতাংশ। একই কারণে চলতি বছর বাংলাদেশে অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিও বাড়বে বলে মনে করে সংস্থাটি।
জানা যায়, করোনার টিকা কেনার জন্য চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে ১৪ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এরই মধ্যে চীনের সিনোফার্মের কাছ থেকে সাড়ে সাত কোটি ডোজ টিকা কেনার চুক্তি করেছে সরকার। ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে প্রথম দফায় দেড় কোটি এবং দ্বিতীয় দফায় ৬ কোটি ডোজ কেনার প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়।
সূত্র জানায়, প্রথম দফায় সিনোফার্ম থেকে দেড় কোটি ডোজ কেনার জন্য ব্যয় হচ্ছে ১ হাজার ২৭১ কোটি ৯৫ লাখ ৭১ হাজার টাকা। এরই মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয় ৭৯৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ছাড় করেছে। চুক্তির আওতায় দ্বিতীয় দফায় ৬ কোটি টিকা কেনার অর্থ এখন পর্যন্ত ছাড় করা হয়নি।
প্রথম দফায় দেড় কোটি ডোজের ক্ষেত্রে প্রতিটির ক্রয়মূল্য ১০ ডলার পড়েছে। এটি সরকারের ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে প্রকাশ করা হয়। তবে চীনের সঙ্গে যে ক্রয় চুক্তি হয়েছে তাতে মূল্য প্রকাশে বিধিনিষেধ আছে। কাজেই দ্বিতীয় দফা অনুমোদিত ৬ কোটি ডোজের প্রতিটির দাম সরকার প্রকাশ করেনি। এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আমরা আগের তুলনায় কম দামে পাচ্ছি। মূল্য প্রকাশ করে আগে পেছনে পড়ে গিয়েছিলাম, আবারও পেছনে পড়ার শঙ্কা আছে। এসব কেনাকাটা সিলেকটিভ। এ সম্পর্কে টেকনিক্যাল ডিটেইলস আপনাদের (সাংবাদিক) বলতে পারি না এবং বলাও সম্ভব হচ্ছে না। আমার বিশ্বাস, আপনারা এটা বুঝবেন এবং আমাদের কো-অপারেট করবেন।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সামসুল আরেফিন ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে সিনোফার্ম থেকে ৬ কোটি ডোজ টিকা কিনছে। চুক্তিপত্রে একক মূল্যে ক্রয়ের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। চীনের সঙ্গে আমাদের নন ডিসক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্ট রয়েছে। সেজন্য মূল্য প্রকাশ করা যাবে না। নভেম্বরের মধ্যে এই টিকা বাংলাদেশে চলে আসবে।