স্টাফ রিপোর্টার: ভূমি উন্নয়ন কর নির্ধারণের জন্য এখন থেকে ভূমি মালিকের তথ্যাদির সঙ্গে মোবাইল নম্বর ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দিতে হবে। সংশ্লিষ্ট এনআইডিধারী ব্যক্তির একই মৌজায় কী পরিমাণ ভূমি রয়েছে তা সুনির্দিষ্ট করে ভূমি কর নির্ধারণ ও আদায় করা হবে। এ কারণে ভূমি মালিকের মোবাইল নম্বর ও এনআইডি দেয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। জমির মালিকদের কাছে মোবাইল মেসেজের মাধ্যমে ভূমি উন্নয়ন করের পরিমাণ জানিয়ে দেয়া হবে। উল্লিখিত বিধান রেখে ‘দ্য ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ট্যাক্স অর্ডিন্যান্স ১৯৭৬’ যুগোপযোগী করে ‘ভূমি উন্নয়ন কর আইন, ২০২২’-এর খসড়া চূড়ান্ত করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে প্রস্তাবিত আইনের খসড়া অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হতে পারে। এ ছাড়া ভূমি-সংক্রান্ত আরও দুটি আইনের খসড়া অনুমোদনের জন্য উপস্থাপনের কথা রয়েছে। এ ছাড়া সরকারি কবরস্থান, শ্মশান, জামে মসজিদ, ঈদগাহ, মাঠ, সর্বজনীন মন্দির, গির্জা বা সর্বসাধারণের প্রার্থনার স্থান ভূমি উন্নয়ন করের বাইরে থাকবে। তবে ব্যক্তিগত, পারিবারিক, গোত্রীয়, দলীয় ও সম্প্রদায়ভিত্তিক উপাসনালয় বা সমাধিক্ষেত্র এবং দান ও দর্শনীর অর্থে বা সহায়ক বাণিজ্যিক কার্যক্রমের মাধ্যমে পরিচালিত উপাসনালয় বা সমাধিক্ষেত্র ভূমি উন্নয়ন করের আওতায় থাকবে বলে খসড়ায় বলা হয়েছে।