বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেল ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান

চুয়াডাঙ্গায় জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস উদযাপন : ঢাকার আয়োজনে প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস উদযাপন করা হয়েছে। জেলা পর্যায়ে বেলুন উড়িয়ে দিবসের কর্মসূচি পালনের শুভ উদ্বোধনের পাশাপাশি শোভাযাত্রা ও আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। ঢাকা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আয়োজিত পাবলিক সার্ভিস দিবস উদযাপন এবং ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশসাশন পদক-২০২২’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেল ব্যবহারে সবাইকে সাশ্রয়ী ও মিতব্যয়ী হওয়ার পুনঃআহ্বান জানিয়েছেন বলেছেন, ‘করোনাভাইরাস যেতে না যেতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং রাশিয়ার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা, ডলারে আদান প্রদান বন্ধ করে দেয়া, যে কারণে আজকে বিশ্বের অনেক উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশও ভুক্তভোগী। আজকে সার কেনা, খাদ্য কেনা বা জ্বালানি তেল কেনার মতো বিষয়ে আমরা বাধাগ্রস্থ হচ্ছি। ২৭ জন কর্মকর্তা, তিনটি মন্ত্রণালয় ও একটি ইউনিটের কাছে পদক তুলে দেয়া হয়।

এদিকে চুয়াডাঙ্গায় জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস উপলক্ষে গতকাল শনিবার বেলা ১০টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বর থেকে বেলুন উড়িয়ে শুভ উদ্বোধন করে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। এরপর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আরাফাত রহমানের সভাপতিত্বে অনুুষ্ঠিত আলোচনা সভায় ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক সাজিয়া আফরীন প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু তারেক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শারমিন আক্তার, সিভিল সার্জন প্রতিনিধি সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. আওলিয়ার রহমান ও সদর ইউএনও শামিম ভূইয়া বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন। সভায় অন্যান্যের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব সভাপতি সরদার আল আমিন, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুন্সি আবু সাইফ, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাসুম আহমেদ ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বক্তব্য রাখেন। সভা সঞ্চালনায় ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাদাত হোসেন। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক সাজিয়া আফরীন বলেন, সবক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের জনগণ সেবা বুঝে নিতে পারেন। জনসেবার জন্য সরকারের কর্মচারীরা সব সময়ই প্রস্তত। ২০৪১ সালের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে এগিয়ে যেতে পারি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। মোবাইলে সেবা দিচ্ছি। বাংলাদেশ সত্যিই সোনার বাংলা গড়ে উঠবে। ২০১২ সালে জাতিসংঘ পাবলিক সার্ভেন্ট ডে ঘোষণা করা হয়।

২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশে ২৩ জুলাই পাবলিক সার্ভিস দিবস পালন করে আসছে। স্পেশাল কাজ করে থাকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় পদক দেয়া হয়। জনপ্রশাসনে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। আমরা যাচ্ছি সমাজের দৌঁড়গোড়ায় ইউডিসি সেবা পৌঁছে দিয়েছে। ইউনিয়ন থেকে জেলা পর্যায়ে সেবা দিচ্ছে। জনগণের সেবা নিতে জানতে হবে। ভূমি সেবায় অনলাইনে কর নিচ্ছে। মানুষ ঘরে বসে কর দিতে পারছে। আমরা গর্বিত। এই পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করতে পারছি। অনেক সময় আইনে বাঁধা থাকে। সবক্ষেত্রে আইনের বাধ্যবাধকতা থাকে। সুশাসনের জন্য পাঁচটা আইন আছে। জনসেবার জন্য আদালত। বিচার ব্যবস্থা। সরকারি সকল দফতর জনবান্ধব হয়ে কাজ করছে।

Comments (0)
Add Comment